শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

২ পুলিশ হত্যার এক যুগ পর ‘সর্বহারা পার্টি’র ২০ জনের যাবজ্জীবন

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:২১ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

মাদারীপুরে এক যুগের বেশি সময় আগে পুলিশের বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তাসহ দুইজনকে হত্যার ঘটনায় চরপন্থি দল ‘সর্বহারা পার্টি’র ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় দেন।

একইসঙ্গে এ মামলার ২৬ আসামির মধ্যে ছয়জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এছাড় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ২০ জনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পুলিশ ভূমিকা রাখে। তারা জরুরি সেবা দেয়, জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের সেতুবন্ধ তৈরি করে। অথচ সর্বহারা নামের এই উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জন্য এই বিচার করেছি।

২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে মাদাপুরের রাজৈরের পূর্ব শাখারপাড় মোড়ে এসবির এসআই হাসনাইন আজম খান এবং প্রধান অফিস সহকারী মো. কামরুল আলম খান ঠাকুরের মোটর সাইকেল আটকায় সর্বহারা পার্টির সদস্যরা।

পুলিশের লোক বুঝতে পেরেই তাদেরকে আটকানো হয়েছিল বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। পরে তাদের হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে কুমার নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলে মামলার বিবরণে জানা গেছে।

আজম খান ও কামরুল আলম কার্যালয়ে দুই দিন অনুপস্থিত থাকায় এবং তাদের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় মাদারীপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার তৎকালীন পরির্দশক আবুল খায়ের মিয়া রাজৈর থানায় মামলা করেন। পর্যায়ক্রমে চারজন কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করেন। শেষ পর্যন্ত রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক একরাম আলী মোল্লা ২০০৭ সালের ৬ অগাস্ট ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

অভিযোগপত্রভুক্ত ৩২ আসামির মধ্যে চারজন বিভিন্ন সময় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এছাড়া আরো দুইজন অসুস্থ হয়ে মারা যান।

 

বিচারের মুখোমুখি হওয়া ২৬ আসামির মধ্যে ১৩ জন পলাতক। ১২ জন হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। আর মাত্র একজন ছিলেন কারাগারে।