ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষের ভিডিও ফেসবুকে, পরে ডিলিট ছাত্রলীগ নেতার
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৫:১০ পিএম, ৮ মে ২০২৪ বুধবার
জামালপুরে ভোট দিতে গিয়ে গোপন কক্ষে ভিডিও ও ছবি ধারণ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। সেই ভিডিও ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করেন তিনি। অবশ্য কিছুক্ষণ পর ফেসবুক থেকে ভিডিও ও ছবি ডিলিট করে দেন এই ছাত্রনেতা।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে জামালপুর পৌর শহরের জরিনা মিয়ার উদ্দিন ও জগবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে ভিডিও ধারণ করেন রাব্বি।
জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা নাফিউল করীম রাব্বি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ফিঙ্গার দিয়ে গোপন কক্ষে যান। তাঁর সঙ্গে থাকা একজনকে দিয়ে ভিডিও ও ছবি ধারণ করেন। পরে সেই ভিডিও ও ছবি তাঁর ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। এর কিছুক্ষণ পোস্ট ডিলিটও করে দেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইডিটা এডমিন দিয়ে চালানো হয়। সে ভুলবশত ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছে। এটা আমার নজরে আসার পরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
জরিনা মিয়ার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোপন কক্ষের মধ্যে ফোন নিয়ে যাওয়া ও ছবি তোলা আইন বিরোধী কাজ। বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।'
এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তুলা বেআইনি। বিষয়টি কেউ আমাদের অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৬৯টি ভোটকেন্দ্রের ১৪১০টি ভোট কক্ষে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৮ শ ৭০ জন পুরুষ ভোটার ও ২ লাখ ৮১ হাজার ৫ শ ৭৮ জন নারী ভোটার রয়েছে। তবে এ নির্বাচনে ১৬৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৫৪টি ভোট কেন্দ্র ঝঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আর এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১ হাজার ২২ জন পুলিশ, ৩ হাজার ৪ শ ৬ জন আনসার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়াও বিজিবি ও র্যাবের সমন্বয়ে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।