রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   ভাদ্র ২৩ ১৪৩১   ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন তারই আইনজীবী

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৫:১২ পিএম, ১৫ মে ২০২৪ বুধবার

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তারই সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন। পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুস দেওয়ার অভিযোগসংক্রান্ত ফৌজদারি মামলার শুনানিতে প্রথমবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। 

বলেছেন, সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুস দিয়েছেন। সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন কোহেন। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় কৌঁসুলি সুসান হফিংগারের প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেছেন, ‘আমি যা করেছি, ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তার লাভের জন্যই করেছি।’ 

এক পর্যায়ে ফোন রেকর্ড বের করে কৌঁসুলিরা দেখান, ঘুস দেওয়ার ওই সময় ফোনে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ও কোহেন। কোহেন ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ট্রাম্পকে কল দিয়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় কথা বলেন। ওই দিনই স্টর্মির সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছিল। 

কোহেন আরও বলেছেন, শেষ পর্যন্ত তিনি স্টর্মির আইনজীবীর কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার হস্তান্তর করেছিলেন। 

স্টর্মি সমঝোতা চুক্তি এবং অতিরিক্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যা তাকে নীরব হতে বাধ্য করেছিল। আর তাৎক্ষণিক বিষয়টি ট্রাম্পকে জানানো হয়েছিল। এ বিষয়ে নির্দ্বিধায় অনুমোদন দিয়েছিলেন ট্রাম্প। 

২০১৬ সালের নির্বাচনের পর কোহেনকে ১২টি কিস্তির মাধ্যমে ওই অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। অবশ্য সেটাকে তখন আইনি ফি হিসেবে দেখানো হয়েছিল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ মামলার শুনানি শুরুর ১৬ দিন পর এমন জবানবন্দি দিলেন কোহেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুস দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন  ট্রাম্প। ট্রাম্পই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচার চলছে। ফৌজদারি মামলা ছাড়াও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা চলছে। 

এর ফলে চলতি বছরের নির্বচনে বাইডেনের বিরুদ্ধে তার প্রার্থী হওয়া নিয়েও জটিলতা দেখা দিতে পারে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তিনি বেআইনিভাবে গোপনীয় নথিপত্র নিজের কাছে রেখেছিলেন। ট্রাম্প যাতে পদে থাকতে পারেন, তার জন্য জালিয়াতি করার অভিযোগে তার ১৮ জন সহযোগী অ্যারিজোনায় অভিযুক্ত হয়েছেন।