চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির শুল্ক তুলে নেয়া উচিত
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৫৭ পিএম, ২২ মে ২০২৪ বুধবার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, চীনে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেয়া উচিত।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ধারাবাহিকভাবে উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে কিছু ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ, অর্ধপরিবাহী ও সৌর প্যানেলের ওপর ৫০ শতাংশ এবং বিদ্যুতচালিত গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ।
চীনকে ‘প্রযুক্তির আদান-প্রদান, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি ও উদ্ভাবনের’ ক্ষেত্রে বাণিজ্য বৈষম্য দূর করতে বাধ্য করার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্যিক রেষারেষির অংশ হিসেবে ৩০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক বসান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার এক হাজার ৮০০ কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্যে বাড়তে যাচ্ছে শুল্ক।
নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়ে বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালার লঙ্ঘন করে একপক্ষীয় শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির কারণ বোঝা খুবই সহজ বলে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রবন্ধে বলা হয়েছে। চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের চেয়ে তুলনামূলকভাবে সস্তা। যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতাদের বাজারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে রক্ষা করতে প্রচুর পরিমাণে সরকারি অর্থ মার্কিন বিদ্যুতচালিত গাড়ি ও সৌর প্যানেল শিল্পের জন্য ভর্তুকি হিসেবে হাতে রেখেছেন বাইডেন, যার লক্ষ্য চীনের সস্তা পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মোটরস ও ফোর্ডের মতো পুরোনো ব্র্যান্ডের গাড়ি কোম্পানিগুলোই লাভবান হবে, দেশটির জনগণ এতে উপকৃত হবে না।
প্রবন্ধে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিদ্যুৎচালিত যানবাহন ব্যবহারের সুযোগ থাকা উচিত। কিন্তু এ ধরনের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে এগুলো এখন তাদের জন্য বিলাসদ্রব্য হয়ে উঠবে।