রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউর ড্রিম হোম কেয়ারকে কারণ দর্শাও নোটিশ

আজকাল রিপোর্ট

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:৫৭ এএম, ২৫ মে ২০২৪ শনিবার


মোহাম্মদ আজিজের প্রতিষ্ঠানকে কেন
প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না
জানতে চেয়েছে আদালত

 
   



নিউইয়র্কের কুইন্সের একটি আদালত ‘ইউর ড্রিম হোম কেয়ারে’র ওপর প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে গত ২১ মে বিবাদিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। স্বপ্ন-১ এলএলসি’র ডিবিএ ‘ইউর ড্রিম হোম কেয়ারে’র মালিক মেসবাহ আবেদিন ওয়ার্কিং পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আজিজকে নিয়েছিলেন বলে জানান। সেই কাজের জন্য ৪০ শতাংশ অর্থ দেওয়ার কথা ছিল মোহাম্মদ আজিজের। তিনি পরে তার নিজের নামে কোম্পানিটি নিয়ে যান বলে মামলার বাদী মেসবাহ আবেদিন জানিয়েছেন। এ কারণে হোম কেয়ারের মালিকানা নিয়ে মিসবাহ আবেদিন এবং ফরিদা ইয়াসমিন বাদী হয়ে আদালতে মোহাম্মদ আজিজ, ফয়সাল ফারহানা, রুহীন মিয়া এবং মাইকেল এম রবিনউইটসকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আদালত আসামিকে নোটিশে বলেছেন, বাদীর স্বপ্ন-১ এলএলসির কোন সম্পত্তি হস্তান্তর ও আয় অন্য কোন হিসাবে স্থানান্তর করা আইনসিদ্ধ হবে না।
আদালতে শুনানি শেষে আসামিদের কেন প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না তার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। আগামী ১৭ জুন তারিখের মধ্যে উত্তর দিতে বলেছেন আদালত।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আজিজ আদালতের কোন নোটিশ পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে টেলিফোনে তিনি জানান, ‘আমি কোন ধরনের নোটিশ পাইনি।’
প্রসঙ্গত: স্বাস্থ্যবীমা চুরি ও জালিয়াতির অপরাধে ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর এম. আজিজকে সস্ত্রীক গ্রেপ্তার করে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি পুলিশ। ওই সময় নাসাউ কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেডেলিন সিঙ্গাস এ দম্পতি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এম. আজিজ ও তার স্ত্রী যুক্তি করে প্রথম স্ত্রীর পরিচয় চুরি করে হাসপাতালে ভর্তিসহ ফার্মাসি থেকে ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র উত্তোলন করে আসছিল বলে অভিযোগ ছিল। বিষয়টি হাসপাতাল ও ফার্মাসির কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে পুলিশে জানানো হয়।
ওইদিন নাসাউ কাউন্টির পুলিশ কমিশনার প্যাট্রিক রেইডার বলেছিলেন, নাসাউ কাউন্টির পুলিশ বিভাগ এবং নাসাউ কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি অফিস কর্তৃক জোরালো তদন্তের পর স্বাস্থ্যসেবা বীমা চুরি ও জালিয়াতির অপরাধে উক্ত বাংলাদেশি দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই দিন তিনি নগদ ৩ হাজার ডলারের বিনিময়ে জামিন নেন।
এছাড়াও ২০২০ সালে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের তহবিল থেকে গঠনতন্ত্রের নিয়ম না মেনে আড়াই লাখ ডলার এম এ আজিজের ‘কোর কনস্ট্রাকশন গ্রুপের’ অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছিল। সেই সময় তথ্য প্রমাণ উত্থাপন করে এটর্নি জোসেফ ম্যাটেন বলেন, প্রথম দফায় এম আজিজের একাউন্টে আড়াই লাখ ডলার ট্রান্সফার করা হয়েছিল, যা ছিল অবৈধ।