আড়ম্বরপূর্ণ ব্রুকলিন মেলা
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৪:১৬ এএম, ২৫ মে ২০২৪ শনিবার
হাজারো মানুষের সমাগম
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ১৯ মে অনুষ্ঠিত হলো আড়ম্বরপূর্ণ ‘ব্রুকলিন মেলা’। বাংলাদেশি আমেরিকান ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটি আয়োজিত নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কম্যুনিটির সবচেয়ে বড় মেলা হিসেবে পরিচিত এই মেলায় সমাগম ঘটেছিল হাজার হাজার মানুষের। মেলায় যোগ দিয়েছিলেন কম্যূনিটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ।
মেলায় স্বাগত বক্তব্য দেন মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট ও সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ। তিনি তার বক্তব্যে বিভক্ত ফোবানার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেন।
এই মেলায় কম্যুনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য বেশ কয়েকজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস-এর প্রেসিডেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল মেম্বার শাহানা হানিফ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থাউজেন্টস শেডস অফ উইমেন এর প্রেসিডেন্ট ডিওর ফল, অ্যামব্যাসেডর জেরি কবেনা আডিনক্রা, থাউজেন্টস শেডস অফ উইমেন এর ইন্টারন্যাশনাল কো অর্ডিনেটর সেরিঙ্গে বারা নাদিয়ে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক গঞ্জালেস, ৬৬ প্রিসেক্টের কমান্ডিং অফিসার কেনেন হ্যারাটে, ক্যাপ্টেন ক্রিস্টোফার জোসেফ, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, চার্চ ম্যাকডোনাল্ড বিজনেস এসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাবুল, কমিউনিটি অ্যাফেয়য়ার্স ৫ বরো’র ডেপুটি কমান্ডার রিচার্ড টেইলর, কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ৬৬ প্রিসেক্টের সার্জেন্ট উইং চ্যাং, কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স অফিসার জেমস, কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স অল বরো সার্জেন্ট আব্দুল লতিফ, সাউথ এশিয়ান আসাল’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ করিম, সার্জেন্ট তাকি, মাইমুনাটিস হসপিটালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডগলাস জ্যাবলান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল আজিম, কুইন্স ডোমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী, কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট এবাদ চৌধুরী প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে মেলা উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ এস এম রেজা, কো চেয়ারম্যান আবছার উদ্দিন, উপদেষ্টা মনির আহমদ কামাল, কামাল হোসেন মিঠু, সমন্বয়ক আহসান হাবিব, সদস্য সচিব ফিরোজ আহমেদ, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দি, সালেহ মানিক, প্রফেসর আজাদ, মোহাম্মদ হাসানসহ মেলার সকল পৃষ্ঠপোষক ও আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শতাধিক গণ্যমাণ্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
‘ব্রুকলিন মেলা’ উদযাপন কমিটির আহবায়ক শাহ নেওয়াজ তার বক্তব্যে বলেন, এই মেলা সকল মত ও পথের মানুষের মিলনের স্থান ও উৎসব কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে সবাই একে অপরের সাথে মিলতে পেরেছে। তিনি বলেন, আমি সব সময় ব্রুকলীন মেলার সাথে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবো। শাহ নেওয়াজ বিভক্ত ফোবানাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষনা দেন। এ সময় ফোবানার অপর অংশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় আবু জাফর মাহমুদ বলেন, এই বর্ণাঢ্য মেলা আমাদের আগামী নেতৃত্বের উজ্জ্বলতা বহন করছে। এটি ব্রুকলিন মেলা হলেও এটি সমগ্র বাংলাদেশি কমিউনিটি তথা দক্ষিণ এশিয়ার মেলা। মেলায় এর বাইরেও পৃথিবীর বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ বাংরাদেশি নতুন প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির সাথে নিবিড়ভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়াার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ ব্যাপারে তিনি অভিভাবকদের প্রতি সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
নূরুল আজিম সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ব্রুকলীন মেলায় সব সময় আমার সহযোগিতা থাকে, আগামীতেও থাকবে। এটর্নী মঈন চৌধুরীও সব সময় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশি আমেরিকান ফ্রেন্ডশীপ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম। মেলার টাইটেল স্পন্সর ছিল গোল্ডেন এজ হোম কেয়ার।
মেলা মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী রিজিয়া পারভীন, বাউল কালা মিয়া, রানো নেওয়াজ, শাহ মাহবুব, ত্রিনিয়া হাসান, শামীম সিদ্দিকী, অনিক রাজ, নুরুজ্জামান লাল্টুসহ প্রবাসের বিশিষ্ট শিল্পীরা। সঞ্চালক ছিলেন আশরাফুল হাসান বুলবুল ও বাংলাদেশি আমেরিকান ফেন্ডশীপ সোসাইটির সেক্রেটারি ও এস এম ফেরদৌস।
সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত মেলায় গোটা চার্চ এভিনিউতে বসেছিল বিভিন্ন পণ্য সামগ্রির ৭০টি স্টল। শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল বিভিন্ন রাইড। এছাড়াও মেলায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল সন্দ্বীপ সোসাইটির আয়োজনে মেলায় উপস্থিত কয়েক হাজার দর্শকদের জন্য সাস্বাদু খাবার, পানীয় ও চা পরিবেশন।
ব্রুকলিনের চার্চ এভিনিউতে অনুষ্ঠিত এবারের মেলায় ২০ হাজারের ওপরে দর্শক উপস্থিত হয়েছিল বলে মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানান হয়।