মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ১ ১৪৩১   ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রথম নাইটক্লাব খুলল সৌদি, প্রবেশাধিকার রয়েছে নারীদেরও

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৫:১০ পিএম, ২৯ মে ২০২৪ বুধবার

ধনী নাগরিকদের নৈশজীবন উদযাপনের জন্য প্রথম নাইটক্লাব খুলেছে সৌদি আরব। চলতি মে মাসই রিয়াদের অভিযাত এলাকা জাক্সে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘বিস্ট হাউস’ নামের এই নাইটক্লাব।

ব্যাপক রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে এক সময় নারীরা প্রায় পুরোপুরি অন্তপুরবাসী ছিলেন। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ তো দূর, একসময় স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা, সিনেমা হলে গিয়ে ফিল্ম দেখা এমনকি গাড়ি চালানোরও অনুমতি ছিল না তাদের; কিন্তু দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই চিত্র বদলাতে শুরু করে। নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের দরজা খুলে যায়, সেই সঙ্গে অন্যান্য সামাজিক বিধিনিষেধও কেটে যেতে শুরু করে।

এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়েছে বিস্ট হাউসেও। নাইটক্লাবটিতে নারীদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে রয়েছে মিউজিক ভেন্যু, একাধিক স্টুডিও, ডাইনিং এরিয়া এমনকি জমজমাট ডিজে পার্টির ব্যবস্থাও। তবে ১৯৫০ সালে দেশজুড়ে মদ নিষিদ্ধের যে আইন জারি করেছিল সৌদির তৎকালীন প্রশাসন, তা এখনও বলবৎ থাকায় বিস্ট হাউসে মদ নিষিদ্ধ। হাউসে আগত অতিথিদের কেবল মকটেল (ফল, মধু/সিরাপ দিয়ে তৈরি একপ্রকার অ্যালকোহলমুক্ত পানীয়) এবং বিভিন্ন অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় খেতে পারবেন।

নাইটক্লাবে যেসব রক্ষী বা বাউন্সার রয়েছেন, তাদেরও মূল দায়িত্ব হলো আগত অতিথিদের মধ্যে কেউ অ্যালকোহল নিয়ে এসেছেন কি না— সেদিকে লক্ষ্য রাখা।

বিস্ট হাউসে অবশ্য সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। কেবল স্থায়ী সদস্যরাই ক্লাবটিতে প্রবেশ করতে পারবেন; আর বিস্ট হাউসের সদস্য হতে হলে প্রতি বছর সদস্য ফি হিসেবে খরচ করতে হবে অন্তত ১ হাজার ৯০০ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৬৭ টাকা। সৌদির ধনবান নাগরিকদের জন্য অবশ্য এই অর্থ প্রায় কিছুই নয়।

প্রসঙ্গত, অনেক দিন ধরে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে সৌদি, আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বিদেশিদের। তবে এতদিন দেশটিতে বিদেশিদের পার্টির করার কোনো স্থায়ী জায়গা ছিল না। এবার সে অভাব পূরণ হলো। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মরুর দেশটি চালু করল নাইট ক্লাব।

নাইটক্লাবে আগত সৌদি তরুণী নৌফ ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ‘এটা একটা নুতন জীবন। আমরা, বিশেষ করে সৌদি নারীরা আবার নতুন করে জন্মাচ্ছি।’