পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবর্ধনায়ও তুমুুল হট্টগোল
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:২৯ এএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার
সভার আয়োজক স্টেট আ. লীগ
নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা এক পর্যায়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সংবর্ধনা সভায় পরিণত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান ট্যারেস হলে আয়োজিত এই সভায় তিনি বক্তব্য রাখার আগে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে তুমুল হট্টগোল বেধে যায়। নিউইয়র্কের বাইরের স্টেট থেকে আসা সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখার সময় এক গ্রুপ উত্তেজিত হয়ে ভাষণে বাধা প্রদান করে। এসময় আরেক গ্রুপ তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকলে হলের ভেতর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ মঞ্চে থাকা অতিথিরা তাদের থামাতে চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তারা কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর দোহাই দিয়ে থামতে আহবান জানান। সিনিয়র সহসভাপতি ফজলুর রহমান বক্তব্য শুরু করলে হলের ভেতরে তার বিরুদ্ধে স্লোগান শুরু হয়। ফজলুর রহমানকে বসে যেতে আহবান জানাতে থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও পাল্টা স্লোগান শুরু হলে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এর আগে ড. হাছান মাহমুদকে ঘিরে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে দলীয় কর্মীদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ, নিজাম চৌধূরী, বীর মুুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মিয়াসহ নেতারা বক্তব্য রাখেন। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রেরণার শক্তি হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি পাঁচবার দলকে ক্ষমতায় নিয়ে গিয়ে প্রমাণ করেছেন দক্ষিণ এশিয়ায় তার মতো আর কোন নেতা নেই। তিনি আমার প্রতি যে ¯েœহ ভালবাসা দিয়েছেন তা জীবন দিয়েও তা শোধ করা যাবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯বার চেষ্টা করা হয়েছে হতার অপচেষ্টা চালানো হয়। আওয়মী লীগ কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু ছিলেন অবিচল। তিনি সব সময় লক্ষ্যে অবিচল থেকে দলকে বারবার ক্ষমতায় নিয়ে গেছেন। আমার ঠিকানা সরকার নয়, আমার ঠিকানা দল। এখন সবাই আওয়মী লীগ করতে চায়। কিন্তু নৌকায় যেন বেশি যাত্রী না উঠে আর উল্টা পাল্টা যাত্রীর দিকে আপনারা নজর দেবেন।
তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, দিনের বেলায় তাদের ঠিকা নয়াপল্টন এবং রাতের বেলায় বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসে তারা ধরনা দেয়। বিএনপি দেশের মানুষে কাছে যায় না। ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ। ক্ষমতার মালিক কোন বিদেশি দেশ বা রাষ্ট্রদূতরা নয়।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে নিয়ে তারা প্রতারণার করলো। এর আগে তারা কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করলো। তারা চেষ্টা করেছিল ২০২৪ সালের নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে আরও উচ্চতর স্তরে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও মধুর করার জন্য আপনারা নেতা কর্মীরা সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তাতে আমাদের উপকার হবে।