আজিজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৩৫ এএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার
তিনবার হেরেও তিনি ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তিনি। এই পদটি দখল করতে তিনি তোয়াক্কা করেননি সততা বা নীতিবোধের। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি সোসাইটির মোড়লের ভূমিকায়। তিনবার হয়েছেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। দুইবার সভাপতি। নির্বাচন এলেই তাকে দেখা যায় সোসাইটির গডফাদারের ভূমিকায়। ক্ষমতা দখলের জন্য অন্ধ এমন লোকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাদার সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি। অক্টোপাসের মতো সংগঠনটিকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। আগামী নভেম্বরে সোসাইটির নির্বাচন। সাধারণ সদস্যদের সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। কিন্তু এখন থেকেই তার অনুগত অশুভ মহল সংগঠনটিকে তাদের কব্জায় রাখার লক্ষ্যে মাঠে নামতে শুরু করেছে। নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন না। তার বিরুদ্ধে কম্যুনিটিতে রয়েছে নানা অভিযোগ। এই অবস্থায় অনেকেই অশুভ চক্রটির হাত থেকে সোসাইটিকে রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচন করার চিন্তা করছেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন এলেই একটি মহল হাজার হাজার ডলার বিনিয়োগ করে ভোট ব্যাংক গড়ে তোলেন। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের সাথে যোগসাজসে নামেন। যে প্রার্থীই বিজয়ী হন, তারা হয়ে যান নির্বাচনী গড ফাদারদের আজ্ঞাবহ। নির্বাচনী প্রতিদান হিসেবে তারা তাকে প্রদান করেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, চেয়ারম্যান কিংবা নির্বাচন কমিশনের পদ।
বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ। মোহাম্মদ রব মিয়া সভাপতি ও রহুল আমিন সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর তার নাম আসে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে। নির্বাচিত কার্যকরি কমিটির সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের সর্মথনে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নির্বাচন হবার কথা। যাতে ১৯ সদস্যের নির্বাচিত কমিটির ১২ জনের ভোট প্রয়োজন হয়। কিন্তু জনাব আজিজ প্রথমবার পান ৮ ভোট। তাকে বোর্ডের সদস্য করতে সোসাইটির অনেক কর্মকর্তা দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা ভোটের আয়োজন করেন। এতে আজিজ ৯ ভোট করে পান। এমন পরাজয়ে তিনি অস্বস্তিতে পড়েন। এই পদের বিপরীতে অপর প্রার্থী ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। তাকে সর্মথন করেন সিনিয়র সহসভাপতি মহিউদ্দীন দেওয়ান ও ফারহানা চৌধুরী সহ কয়েকজন। অবশেষে রাতের অন্ধকারে কার্যকরী কমিটির অনেক সদস্য তার কাছে ম্যানেজ হয়ে যান। যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় বিরোধিতা করেছিলেন তারাই ‘ম্যানেজ’ যাদুতে আজিজের পক্ষে চলে যান। ৪র্থ দফায় আজিজ নির্বাচিত হন। এ ঘটনায় এক কলংকজনক নজির স্থাপিত হয় সোসাইটির ইতিহাসে। আব্দুল আজিজকে নির্বাচিত করা নিয়ে সোসাইটির অফিসের ভেতরে ধাক্কাধাক্কি ও একে অপরের দিকে পানির বোতল ছুঁড়ে মারার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ পর্যন্ত তা গড়ায়। প্রভাব বিস্তার করে এবং নির্বাচিত কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার আশীর্বাদে আজিজ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সমর্থনে বনে যান চেয়ারম্যান।