মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জিয়ার উন্নয়নকে সরকার ধসিয়ে দিয়েছে

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৪২ এএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার

মৃত্যুবার্ষিকীতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির অনুষ্ঠান

 

 
 
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলি গত বুধবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের কাবাব কিং পার্টি সেন্টারে এক দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি'র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য  গিয়াস আহমেদ ও  প্রধান বক্তা ছিলেন ড. শওকত আলী।
বেবীনাজনীন বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন জনগণের নেতা। হেনরি কিসিঞ্জার যখন বাংলাদেশকে বটমলেস বাসকেট বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান বলেছিলেন এটি সাকসেস কেস বা সাকসেস বাসকেট। তিনি সব খাতেই উন্নয়ন করে গেছেন। কিন্তু বর্তমান সরকার সব কিছু  ধসিয়ে দিয়েছে। তাদের উন্নয়ন বানের জলে ভেসে গেছে। সেই বাংলাদেশ আর নেই।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিতে বিভেদ নিয়ে বেবী নাজনীন বলেন, এখানকার নেতারা কেন্দ্রীর পদ পেয়েছেন। কিন্তু আপনারা বক্তব্যে যে বড়বড় কথা বলেন তার প্র্যাকটিস নেই। নেতা হয়েছেন, দলকে তো টেনে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তা হয় না। তারেক রহমান তো দূরে বসেও দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদেরও দায়িত্ব আছে। কাজ না হলে পদে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। তাই দায়ভার নিয়ে, ইগো ভুলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিতে শক্তিশালী নেতৃত্ব আনতে হবে। নতুন যেসব কমিটি হয়েছে  তারা এখনো কর্মী, কিভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, কর্মসূচী নিতে হবে তা তারা এখনো জানে না। তাদের সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। তা না করে আমার ভাই-তোমার ভাই করে দল এগিয়ে যাবে না। পয়সা খরচ করে চেয়ার পাবেন, প্রধান অতিথি হবেন, বিশেষ অতিথি হবেন, প্রধান বক্তা হবেন, সবকিছুই হবেন, আপত্তি নেই। তবে পয়সা দলের কাজে যেন লাগে। দলকে সংগঠিত করেন, নতুনদের বোঝান, নেতৃত্ব উপযোগী করে গড়ে তোলেন। নিয়মিত সেমিনার করতে হবে।
গিয়াস আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার যে মূল চেতনা তা প্রতিষ্ঠা করেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, বহুদলীয় গণতন্ত্রেরও প্রবর্তন করেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতারও নিশ্চিত করেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে সেই স্বাধীনতা নেই, সাংবাদ পত্রের স্বাধীনতা নেই। দেশের প্রধান জিয়াউর রহমানের মতো যদি সৎ হন তাহলে দেশের মানুষ ভালো থাকে। আর যদি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মতো দুর্নীতি পরায়ন হয় তাহলে তার ভোগান্তিও জনগনকে পোহাতে হয়। দেশবিরোধী এ সরকার দেশের সব খাতে দূর্নীতি ছড়িয়ে দিয়েছে।  ব্যাংক থেকে শুরু করে সব খাতই সরকার ও তার মানুষজন লুটে খাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সম্পাদক কাজী আজম, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. সবুর, সাবেক সহ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সবুজ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম, সাবেক সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ওমর ফারুক, সালেহ আহমদ মানিক, সাংবাদিক সাঈদ তারেক, যুক্তাষ্ট্র বিএনপির নেতা মাহমুদা শিরিন, সুরুজ্জামান, ফরহাদ খন্দকার, মশিউর রহমান সহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন জসিম উদ্দিন।
একই দিন জ্যাকসন হাইটসে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ যুক্তরাষ্ট্র এর উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষীকি উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠান এবং তবারক বিতরণ করা হয়।