শনিবার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১   ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বল্টিমোর সেতু পুনর্নির্মাণে প্রয়োজন ১.৭ বিলিয়ন ডলার

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:৪০ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার

হোয়াইট হাউয এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৭০০ ফুট প্রশস্ত ও ৫০০ ফুট গভীরতার বল্টিমোর ফেডারেল চ্যানেলের বন্দরটি আবারও খুলে দেয়া হয়েছে। তবে ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ ধসের পর এখনও ম্যাকহেনরি চ্যানেলের আশেপাশের জলসীমা থেকে সেতুটির ধ্বংসাবশেষ অপসারণের কাজ চলছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ অপসারণের সময় কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আলাদা একটি নিরাপত্তা জোন চালু রাখা হবে। ধ্বংসাবশেষ অপসারণ পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত গভীর নদীবন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোকে টাগ ভেসেল এর সহায়তা নিতে হবে।

ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্টেশন এর উদ্ধৃতি দিয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজের ধাক্কায় ধসে যাওয়া সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করতে প্রাথমিকভাবে ১.৭ থেকে ১.৯ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে।

চলতি বছর মার্চ মাসের ২৬ তারিখে ডালি নামের ৯৮৪ ফুট লম্বা একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজটি ধসে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় ও বল্টিমোর বন্দরের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। পরবর্তীতে মে মাসের ২০ তারিখে ঘটনাস্থল থেকে জাহাজটিকে সরিয়ে নেয়া হয়।

ইউএস আর্মি কর্পস অফ ইঞ্জিনিয়ার্স এর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল বাচ গ্র্যাহাম বলেছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টন ইস্পাত পানি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

মার্চের ৩০ তারিখ থেকে পাটাপস্কো নদীতে ভাসমান ও ডুবে যাওয়া ইস্পাত ও জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার ও অপসারণ করার জন্য ক্রেইন অপারেটর, গাড়িচালক, নেভি সদস্য ও উদ্ধারকর্মীদেরকে তাদের কৃতিত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন গ্র্যাহাম।

বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউয জাহাজ চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ নেভিগেশন চ্যানেল পুনরায় চালু করতে সহায়তা করার কারণে ইউনিফাইড কমান্ডের কাজের প্রশংসা করেছে।

ওই বিবৃতিতে হোয়াইট হাউয বলেছে, ‘সেতু ধসে নিহতদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই এবং আমরা এই শোক কাটিয়ে ওঠার সময়ে তাদের পাশে থাকব। প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য বল্টিমোরের জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করার আগ পর্যন্ত আমরা আপনাদের পাশে থাকব।’

সেক্রেটারি অফ ট্রান্সপোর্টেশন পিট বাটিগিগ বলেছেন, সেতু ধসের ঘটনায় অন্যান্য বন্দর ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা জাহাজগুলোও এখন এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ও ধারণা হলো, এই সমস্ত বাধা ও পরিবর্তনগুলো অস্থায়ী এবং এখন থেকে দুর্ঘটনার আগমুহূর্তের মতোই আবারও একই গতিতে বন্দরের সব কার্যক্রম চলমান রাখা হবে।’

বাটিগিগ বলেছেন, বন্দরটি পুনরায় চালু করার ফলে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে ইন্টারন্যাশনাল লংশোরম্যানস অ্যাসোসিয়েশন ওয়ার্কার্স এর কর্মীসহ স্থানীয় কর্মীদের ওপর যারা দুর্ঘটনার পর থেকে বন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন।