রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসরাইলি রক্তপিপাসুদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপের আহ্বান এরদোগ

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:২৩ পিএম, ১৮ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার

দখলদার ইসরাইলের রক্তপিপাসু এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর নিয়মতান্ত্রিক নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সোমবার ইসলামিক উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তুরস্কের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।

জেরুজালেমের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে এরদোগান বলেন, ‘আমরা যদি আল-আকসা মসজিদ রক্ষা করতে না পারি তবে ভবিষ্যতে পবিত্র কাবা শরীফকেও রক্ষা করতে পারব না। এজন্য জেরুজালেম আমাদের রেড লাইন। যে চুক্তির লক্ষ্যই হচ্ছে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করা সে চুক্তি আমরা কখনোই মানব না।’

সম্প্রতি ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘাত নিরসনে শতাব্দীর সেরা চুক্তি আখ্যা দিয়ে ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবে আরবলীগসহ মুসলিম বিশ্বের নেতারা চুপ থাকায় তাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। পাশাপাশি এই চুক্তির বিরোধিতাও করেন তিনি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রস্তাবে মুসলিম নেতাদের নীরবতার সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, ‘জেরুজালের সব মুসলিমদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরব, ওমান, বাহারাইন, আবুধাবি নীরব কেন? আপনারা আর কবে আপানাদের মুখ খুলবেন? আপনারা এই অন্যায়ের সমর্থন করছেন। আপনাদের অবস্থান দেখলে লজ্জা হয়।’

এরদোগান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এই শান্তি চুক্তি ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের ভাগ্যে ‘রক্তাক্ত থাবার’ মতো যা ইসরাইলকে মানবতার ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত পরিচিতি এনে দেবে। ইহুদী জনগণের সঙ্গে তুরস্কের কোনো সমস্যা নেই। তবে নিজেদের অধিকার থেকে ফিলিস্তিনিদের বঞ্চিত করতে ইসরাইলের অত্যাচারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে তুরস্ক। ‘অবৈধ রাষ্ট্র’ ইসরায়েলকে মেনে নেবে না তুরস্ক।   

তিনি বলেন, আমরা গাজার পাশাপাশি ইসলামি বিশ্বের অন্যান্য কোণায় যে ট্র্যাজেডি ঘটছে সে সম্পর্কে আমরা চুপ থাকছি না। সুদানে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ভ্রাতৃত্বের সংঘাতের অবসান ঘটাতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। লিবিয়া থেকে সোমালিয়া, আফগানিস্তান থেকে ইয়েমেন, যেখানেই সমস্যা, অস্থিতিশীলতা বা ট্র্যাজেডি সেখানেই আমরা নির্যাতিতদের সাহায্যে ছুটে যায়।