উত্তর কোরিয়ার পর ভিয়েতনামে পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
আজকাল রিপোর্ট
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৫১ এএম, ২২ জুন ২০২৪ শনিবার
উত্তর কোরিয়া সফর শেষে ভিয়েতনাম গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুদিনের সফরে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে হ্যানয়ে পৌঁছান তিনি। তবে পুতিনের এই সফর ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভ্লাদিমির পুতিন হ্যানয় বিমানবন্দওে পৌছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অভ্যর্থনা জানান ভিয়েতনামের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ত্রান হং হা এবং কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কূটনীতিকরা।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ভিয়েতনাম সফরে গেলেন পুতিন। সফরে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট তু লাম, প্রধানমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টি প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও আলোচনা করবেন বাণিজ্য, আঞ্চলিক রাজনীতি ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে পঞ্চম মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর এটি পুতিনের তৃতীয় বিদেশ সফর। এর আগে, বুধবার বহুল আলোচিত উত্তর কোরিয়া সফরে যান পুতিন। গার্ড অব অনারসহ জমকালো সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাকে। দুপক্ষের কৌশলগত নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি হয় বলেও জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, পুতিনের ভিয়েতনাম সফরের মধ্য দিয়ে মস্কো এবং হ্যানয়ের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভিয়েতনাম সফরের আগে বুধবার (১৯ জুন) উত্তর কোরিয়া সফর করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর তিনি রাশিয়ার বেশ কয়েকজন শীর্ষ মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীদের একটি বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে ভিয়েতনামে সফর যান।
বিশ্লেষকদের মতে, ভিয়েতনাম এখনও রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ককে মূল্য দেয়। যদিও এটি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতেও কাজ করছে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ চলাকালীন পুতিনের উত্তর কোরিয়া এবং ভিয়েতনাম সফরের তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্টেট ডিপার্টমেন্টের দাবি, পুতিনের এই সফর ইউক্রেনে যুদ্ধের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
এদিকে, পুতিনের সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি সই হয়েছে। রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, দেশ দুটির মধ্যে ১৯৬১, ২০০০ এবং ২০০১ সালে যেসব চুক্তি হয়েছেÑ নতুন চুক্তিটি সেগুলোর স্থলাভিষিক্ত হবে।
পুতিন জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসা ছাড়াও রাজনৈতিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক এবং নিরাপত্তা চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিকে একটি ‘ব্রেক থ্রু’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন তিনি। অপরদিকে কিম জং উন এটিকে ‘সন্ধিক্ষণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।