রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যববসায়ীদের আপত্তি

‘শপ লিফটিং’ বন্ধে প্যানিক বাটন চালুর প্রস্তাব

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৪২ এএম, ২২ জুন ২০২৪ শনিবার



 
 
দোকানপাটে চুরি বন্ধ এবং কর্মচারিদের নিরাপত্তায় নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট গত ৭ জুন ‘রিটেইল ওয়ার্কার সেফটি অ্যাক্ট’ বিল পাশ করেছে। এত দোকানে দোকানে ‘প্যানিক বাটন’ স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এই আইন কার্যকর করতে বাধা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
আইনটিতে কর্মস্থলে কর্মচারিদের নিরপত্তা, হয়রানি ও চুরি বন্ধের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।  লেবার ইউনিয়নগুলো এটিকে স্বাগত জানালেও ওয়ার্ল্ড মার্ট সহ বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই আইনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। ব্যববসায়ীরা বলছেন, এতে ব্যবসার ক্ষতি হবে। ‘প্যানিক বাটন’ পুশ করার সাথে সাথে পুরো স্টোর খালি হয়ে যাবে। পুলিশ এসে ঘন্টাব্যাপী তল্লাশী শুরু করবে। পুরো ব্যবসার পরিবেশটাই মুহূর্তের মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া দোকানে ‘প্যানিক বাটন’ বসানোও ব্যয়বহুল। অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর তা বসানোর মতো আর্থিক অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর নেই। এই বাটন দোকানের বিভিন্ন স্থানে বসানো হবে। কর্মচারিরা সেলফোনের সাথে মোবাইল বাটন সংযোজন করতে পারবেন। এতে বাটন পুশ করলে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সরাসরি কর্মচারির কাছে চলে আসবে। অনেকে গভর্ণর ক্যাথি হোকুলকে বিলটিতে ভেটো দেবার আহবান জানিয়েছেন।  আইনটিকে কার্যকর করতে হলে ১৮০ দিনের মধ্যে গভর্ণরকে তা স্বাক্ষর করতে হবে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তা বাস্তবায়িত হবার সম্ভাবনা রয়েছে ১ জানুয়ারি ২০২৭ সাল নাগাদ।
পক্ষান্তরে নিউইয়র্কের ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এলায়েন্স এর প্রেসিডেন্ট মাইক ডুরান্ট বলেছেন কর্মচারি ও প্রতিষ্ঠানের নিরপত্তায় আমরা উদ্বিগ্ন। নতুন এই আইন অবশ্যই আশার সঞ্চার করবে। আমাদের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে অভিমত জানানো হবে। রিটেইল, হোলসেল ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ইউনিয়ন বলেছে, আইনটি প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারিদের সুরক্ষায় কাজ করবে। ওয়ার্ল্ড মার্ট করপোরেট এফেয়ার্স প্রধান কর্মকর্তা ড্যান বার্টলেট বলেছেন, এটি একটি অসম্ভব প্রস্তাবনা। নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড মার্টের ৯৮টি স্টোর রয়েছে। প্যানিক বাটন বসাতেই মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। এর সাথে রয়েছে কর্মচারিদের এ সম্পর্কে  প্রশিক্ষন দেয়া। তিনি বলেছেন, এই আইনটি বাস্তবতা বিবর্জিত।