বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে মমতার অভিযোগ খারিজ মোদী সরকারের

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ২৫ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার

বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন নিয়ে মমতা ব্যনার্জীর অভিযোগ মানতে রাজি নয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি একাধিক সূত্র বলছে, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই কেন্দ্র এককভাবে এই চুক্তি নবায়ন করতে চলেছে বলে যে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, সেটি সঠিক নয়।

সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে একজন প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছিল।

২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রকে জানায়, সেচ ও জলপথ বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে তারা কমিটিতে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছে।

পরে, ২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ ও জলপথ বিভাগের যুগ্ম সচিব কেন্দ্রকে জানিয়ে দেন, আগামী ৩০ বছরে ফারাক্কা বাঁধের ডাউনস্ট্রিমের জন্য তাদের কী পরিমাণ অর্থ লাগবে।

সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যে বলছেন, তাদের না জানিয়ে ফারাক্কার পানিবণ্টন চুক্তির নবায়ন হচ্ছে, তা ঠিক নয়।

গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, গায়ের জোরে উত্তরবঙ্গকে পানি থেকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত চলছে।

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি সই হয়। এর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে। এ অবস্থায় গত সপ্তাহে ভারত সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয় তার।

এরপরেই মমতা অভিযোগ করেন, তাদের বাদ দিয়েই গঙ্গা চুক্তি নবায়নের চেষ্টা চলছে। মোদীর কাছে পাঠানো চিঠিতে চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্তকে ‘একতরফা’ বলে অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তবে, বার্তা সংস্থা এএনআই’র সূত্রও বলছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই দাবিটি মিথ্যা। সোমবার সূত্রটি বলেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার মিথ্যা দাবি করেছে যে, গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ চুক্তির অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায় তাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের জন্য দুই দেশের একটি যৌথ কারিগরি কমিটি শিগগির আলোচনা শুরু করবে। ‘তিস্তা নদীর সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা’ও ভারত যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।