প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুক্তরাষ্ট্র আ. লীগের বর্ণাঢ্য আয়োজন
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:০৫ এএম, ২৯ জুন ২০২৪ শনিবার
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এই প্রথম এত জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হলো। এই উপলক্ষে রোববার ২৩ জুন জ্যাকসন হাইটসে উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো দলের নেতা-কর্মীদের বর্ণাঢ্য সমাবেশ। সমাবেশ চলাকালে ট্রাকের ওপর স্থাপিত ডিজিটাল স্ক্রিনে ভেসে উঠছিল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সময়কালের নানা ইতিহাস। ইতিহাসের সাক্ষী মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, শামসুল হক, মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্ক বাগীশ, তাজউদ্দীন আহমেদ ও শেখ হাসিনা সহ অনেক নেতানেত্রীর ছবি পর্দায় প্রতিফলিত হচ্ছিল। বেজে উঠছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। পুরো ডাইভারসিটি প্লাজা ছিল আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের পদভারে মুখরিত। সবারই মুখে ছিল শ্লোগান, হাতে ছিল ফেস্টুন, বুকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ছিল ব্যাজ। কেক কেটে নেতা কর্মিদের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী সাহানা রহমান। মনিকা রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে শিল্পীরা পরিবেশন করছিলেন দেশাত্মবোধক গান। অনুষ্ঠানের শেষে বিরিয়ানী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ইতিহাস তৈরি করলো। প্রবাসে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে সংগঠনের জন্মদিন উদযাপন এটাই প্রথম। অন্য বিভিন্ন বক্তা বলেন, ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠন উজ্জীবিত হয়েছে ও এগিয়ে চলেছে। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে আসলে কিছু নেতা নামধারী চক্রান্তকারি ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন। এবার তা হতে দেয়া হবে না। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবেলা করবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল হামিদ। অনুষ্ঠানে বক্তাদের মধ্যে ছিরেন, ডা. মাসুদুল হাসান, শামসুদ্দিন আজাদ, লুৎফল করিম, কাজী কয়েস, সিতাংশু গুহ, মজিবুর রহমান, ইবাদুর রহমান চৌধুরী, দুরুদ মিয়া, তারিকুল হায়দার চৌধুরী, আশরাফ উদ্দীন, নাফিকুর রহমান তুবান, সিরাজ উদ্দীন সরকার, আবুল কাশেম, বদরুজ্জামান পান্না, সাইফুল আলম, এবাদুল হক, শাহ আল শফি আনসারী, হারুনর রশীদ, মাসুদ হোসেন সিরাজী, আশরাফ আলী খান লিটন, সেবুল মিয়া, রায়হান মাহমুদ, মমতাজ শাহনাজ, রফিকুর রহমান ও গাজি ওয়াহিদুজ্জামান লিটন।