হারিকেন বেরিলের আঘাতে নিহত ৬
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ১০:৪৮ পিএম, ৩ জুলাই ২০২৪ বুধবার
জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে আসা হারিকেন বেরিলের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ছয়জন হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে শক্তি হারাচ্ছে বেরিল। ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের মতে, বেরিলকে ক্যাটাগরি-ফাইভ থেকে ক্যাটাগরি-ফোর এ নামিয়ে আনা হয়েছে, তবে এর সর্বোচ্চ একটানা বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল পর্যন্ত উঠছে।
ক্যারিবিয়ান সাগরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময় বেরিল দুর্বল হতে থাকবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হলেও জ্যামাইকায় বুধবার পৌঁছানোর সময় এটি একটি বড় হারিকেন হিসেবেই আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্রেনাডার কারিয়াকুতে সোমবার হারিকেনের আঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ঝড়ের আঘাতে সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ভেনেজুয়েলার উত্তরাঞ্চলে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে ওই দেশগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ক্যারিবিয়ান সি-এর উষ্ণ জলরাশির মধ্য দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময় হারিকেন বেরিল ক্যাটাগরি-ফাইভে রূপ নিলে তা জুলাই মাসের ইতিহাসে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ শক্তিশালী আটলান্টিক হারিকেনে পরিণত হয়।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালে হারিকেন এমিলির আঘাতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ মাইল বেগে বাতাসের রেকর্ড ছিল।
ঘূর্ণিঝড় বেরিল অগ্রসর হয়ে জ্যামাইকায় আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং পার্বত্য দ্বীপ দেশটিতে চার থেকে আট ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে বেরিল জ্যামাইকা উপকূলে বুধবার বিকেলে বা সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ ১৩০ মাইল প্রতি ঘন্টা বাতাস নিয়ে আছড়ে পরবে। এতে আট ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেরিলের প্রভাবে মঙ্গলবার শেষের দিকে এবং বুধবার ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র এবং হাইতির দক্ষিণাঞ্চলেও দুই থেকে ছয় ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনে ঘূর্ণিঝড়ে স্কুল, বাড়িঘর, ভবন ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনের অংশ ইউনিয়ন আইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হারিকেনের বাতাসে ৯০ শতাংশ বাড়ি হয় ধ্বংস হয়ে গেছে অথবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইউনিয়ন আইল্যান্ড বিমানবন্দরের ছাদ ফেটে গেছে। সেন্ট ভিনসেন্টের আরগাইল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী রালফ গনজালভেস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেরিল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।’
দুর্বল হয়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় হিসেবে সপ্তাহের শেষের দিকে মেক্সিকোর ইউকাতান উপদ্বীপের দিকে আঘাত হানতে পারে বেরিল।