রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২০ ১৪৩১   ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

২ হাজার ভোট নিয়ে তুমুল বিতর্ক

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:২৪ এএম, ৬ জুলাই ২০২৪ শনিবার


বাংলাদেশ সোসাইটির ভোটার সংখ্যা ১৮,৩৩০

 

 
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্য পদ নবায়ন ও ভোটার তালিকা তৈরির কাজ  ৩০ জুন রোববার সম্পন্ন হয়েছে। রোববারই ছিল সোসাইটির সদস্যপদ নবায়ন ও ভোটার হবার শেষ দিন। এদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সদস্যপদের আবেদন গ্রহণ ও জমাকৃত অর্থের গণনা। আর এ নিয়ে সৃষ্টি হয় তীব্র উত্তেজনা, চলে তুমুল বিতন্ডা। অভিযোগ ওঠে আবেদনপত্র ও জমাকৃত অর্থের মধ্যে অসংগতির। এই পরিস্থিতিতেই সম্পন্ন হওয়া তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩ শত ৩০ জন।  এরমধ্যে আজীবন সদস্য সংখ্যা ৮৫৩ জন। শেষ দিনে সদস্য আবেদন জমা পড়ে প্রায় ১০ হাজার। ভোটারদের চাঁদা থেকে সোসাইটির আয়ের পরিমান ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ ডলার।
এই কার্যক্রমের সময় আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের সর্মথকরা উপস্থিত ছিলেন। এলমহার্স্টস্থ সোসাইটি কার্যালয় ছিল এদিন জমজমাট। মধ্যরাতে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া মোট জমাকৃত ভোটারের সংখ্যার ঘোষণা দেন। তিনি অবশ্য বলেন, এ সংখ্যাটি চূড়ান্ত নয়। হাতে গণনা করা হয়েছে। সংখ্যার সামান্য এদিক-সেদিক হতে পারে। অচিরেই চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী একটি প্যানেলের প্রস্তাবিত সভাপতি পদপ্রার্থী আতাউর রহমান দাঁড়িয়ে বলেন, সকালে সভাপতি রব মিয়া বলেছিলেন, আগের দিন পর্যন্ত হিসাবে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৫ হাজার  ৩৭৫ জন। এখন তিনি বললেন তা ৭ হাজার। হঠাৎ করে ২ হাজার বাড়লো কিভাবে? এই ২ হাজার সদস্যের জমাকৃত চাঁদার হিসাব নিয়েওতিনি প্রশ্ন তোলেন এবং এই গরমিলের কারণ জানতে চান। জবাবে রব মিয়া বলেন, এটি আমার অনুমান ছিল। ধারণা থেকে বলেছিলাম। সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী মাইক নিয়ে বলেন, সকালে সভাপতি কিভাবে ৫ হাজার ভোটের হিসেব দিয়েছিলেন আমি জানি না। আমি ছিলাম না। তবে ৩০ জুনের আগে পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার সদস্যের চাঁদা পরিশোধ ছিল। এ সময় জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল খান বলেন, রব মিয়া সকালে বলার পর সারাদিন আপনারা কোন সংশোধন বা এ ব্যাপারে কিছু বললেন না। মধ্যরাতে এসে ২ হাজার বেশি ভোটার দেখালেন। এতে যে কেউই স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন।
এই অভিযোগের পর উত্তেজনা দেখা দেয়, বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট রব মিয়া বলেন, আপনারা গায়ের জোরে কথা বলার চেষ্টা করছেন। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির কোন কারণ নেই। এদিন কত টাকা উঠেছে তা তখনই  গণনা করার জন্য আতাউর রহমান সেলিম অনুরোধ জানান। এই গণনার জন্য তিনি উপস্থিত ট্রাস্টিবোর্ডের ২ জন সদস্য আতাউল আলম ও আজিমুর রহমান বোরহানের নাম প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, জমাকৃত অর্থের সাথে সদস্য সংখ্যার হিসেব মিলে গেলে আমাদের আর কোন অভিযোগ নেই। যতরাত হয় আমরা অপেক্ষা করবো। সোসাইটির স্বার্থেই আমি এ অনুরোধ করছি।  এ সময় কাজী আজম বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের ২ জন সদস্যের কাছ থেকেই আমরা হিসেবটা জানতে চাই। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আজিমুর রহমান জানান, প্রেসিডেন্ট সকালে ৫ হাজার  ৩৭৫ জন ভোটারের কথা বলেছিলেন।  এই পর্যায়ে রব মিয়া আবারও বলেন, আমি আমার ধারণা থেকে কথাটা বলেছিলাম। পরে আতাউর রহমান সেলিম, মোহাম্মদ আলী ও তোফায়েল ইসলামের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত ২ হাজার ভোটারের সদস্য ফরমের কপি দেখান সোসাইটির সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকী। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আতাউল আলম ফান্ডে জমাকৃত অর্থের হিসেব তুলে ধরেন।
৩০ জুন মধ্যরাত অবধি ভোটারের সদস্য ফরম জমা ও গণনাকালে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদেও মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, আব্দুর রহিম হাওলাদার, বদরুল খান, কাজী আজম, মোহাম্মদ আলী, কাজি তোফায়েল ইসলাম, ফারুক চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, মাঈনুদ্দিন মাহবুব, নওশেদ হোসেন, রিজু মোহাম্মদ, মফিজুল ইসলাম ভূইয়া রুমি, কামরুজ্জামান কামরুল, সাদি মিন্টু ও ওয়াহিদ কাজি এলিন।