রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২০ ১৪৩১   ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

নভেম্বরে আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:২৮ এএম, ৬ জুলাই ২০২৪ শনিবার


 
 
বাংলাদেশী খাবার এবং সংস্কৃতিকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে নিউইয়র্কে আগামী ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডস’ এর প্রথম আসর। বৃহস্পতিবার কুইন্সের একটি রেস্টুরেন্টে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন আয়োজকরা। আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড-এর প্রতিষ্ঠাতা  এবং খলিল বিরিয়ানির সিইও খলিলুর রহমান, অ্যাওয়ার্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক এনাম ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এন মজুমদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
খলিলুর রহমান বলেন, নিউইয়র্কে কুইন্সের 'টেরেস অন দ্য পার্ক'-এ আগামী ১৭ নভেম্বর ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’-এর জমকালো ও আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান হবে। প্ল্যাটফর্মটি বিশ্বের বৈচিত্র্যময় খাবার ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাবে। তবে প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের খাবারকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরা। এর মাধ্যমে দেশের আকর্ষণীয় এবং মুখরোচক সব খাবার ও খাবারের সংস্কৃতি বিশ্বজুড়ে পরিচিত করাতে চাই। এছাড়া কালিনারি বা রন্ধন শিল্পের সম্ভবনা তুলে ধরে দেশের নতুন প্রজন্মকেও এই পেশায় আগ্রহী করতে চাই।
আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শেফ বলেন, মূলত ব্রিটিশ কারী অ্যাওয়ার্ডের আদলে আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে। তবে সব দেশের অংশগ্রহণকারী জন্য আয়োজনটি উন্মুক্ত থাকবে। এনামুল হক বলেন, ছয়টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হবে। এগুলো হচ্ছে লাইফ টইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, রেস্টুরেন্ট অফ দা ইয়ার, এক্সিকিউটিভ শেফ অফ দা ইয়ার, শেফ অফ দা ইয়ার, ফুড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অফ দ্যা ইয়ার এবং হোম কুক অফ দা ইয়ার। তিনি বলেন, হোমকুক অব দ্যা ইয়ার পুরস্কার নারীদের কাজের স্বীকৃতি ও উৎসাহ দেবে। তিনি জানান, এই আয়োজনের জুরি বোর্ডে থাকবেন বিশ্বখ্যাত মাস্টার শেফ এবং কালিনারি বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড হবে একটি আন্তর্জাতিক মানের মূলধারার আয়োজন। সিনেটর থেকে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানা সেক্টরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগ্রহীদের আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড এর ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে এন মজুমদার বলেন, খাবারের দিক দিয়ে বাংলাদেশী খাবার অনন্য। তবে এশিয়ার অন্যান্য দেশের খাবারের মতো সেভাবে পরিচিতি পায় নি। বাংলাদেশি এই আয়োজনের নানান আইনগত বিষয় দেখাশোনা করা হবে বলে তিনি জানান।।
উল্লেখ্য, অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের স্পন্সর হিসাবে রয়েছে শেফ’স ফেডারেশন অব বাংলাদেশ (সিবিএফ) ও খলিল ফুড।