আমেরিকান কারি এ্যাওয়ার্ড ১৭ নভেম্বর
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৫২ পিএম, ৯ জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার
আগামী ১৭ নভেম্বর নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ । নিউইয়র্কের কুইন্সের টেরেস অন দ্য পার্কে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার জ্যামাইকাস্থ খলিল বিরিয়ানীতে আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডের পক্ষ থেকে মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করা হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা মাস্টার শেফ মো. খলিলুর রহমান, সহ—প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক এনাম এবং আইন উপদেষ্টা মাস্টার অফ ল’ এন মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো: খলিলুর রহমান বলেন, আমি পেশায় একজন শেফ। নিউইয়র্কের খলিল বিরিয়ানি হাউজের প্রতিষ্ঠাতা, চিফ শেফ এবং সিইও। খুব অল্প সময়ের মধ্যে খলিল বিরিয়ানি হাউজ নিউইয়র্ক তথা পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত খাবারের ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেই নয়,স্থানীয় আমেরিকানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছেও আমাদের খাবারসমূহ সমান জনপ্রিয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের যাত্রা কিন্তু খুব বেশি দিনের না। ২০১৭ সালে নিউইয়র্কে খলিল বিরিয়ানি হাউজ যাত্রা শুরু করে। আর অল্পসময়ের মধ্যেই আমাদের খাবার মানুষের পছন্দের তালিকার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে। সাম্প্রতিককালে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নামানুসারে ‘বাইডেন বিরিয়ানি’ নামে নতুন একটি ডিশ চালু করেছি। ব্যতিক্রমী এই ডিশটি আমেরিকায় বেশ আলোচিত হয়েছে এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ভবিষ্যতে এরকম আরও কিছু ডিশ প্রচলনের ইচ্ছা আমাদের আছে।
আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডের সহ—প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক এনাম বলেন, জনপ্রিয়তার পাশাপাশি গ্রাহক সেবায় অনন্য অবদানের জন্য খলিল বিরিয়ানি হাউজের সত্ত্বাধিকারী এবং প্রধান শেফ হিসেবে অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার ‘প্রেসিডেন্সিয়াল লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ড’। পাশাপাশি ২০২২ সালে পেয়েছেন কালিনারি শিল্পের অস্কার হিসেবে খ্যাত ‘ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড’। যা অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পুরস্কার।
তিনি আরো বলেন, ‘ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার পর মাস্টার শেফ খলিলুর রহমানের মাথায় আসে, ‘ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড’—এর মতো করে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ করলে কেমন হয়? তখন তিনি বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে আলাপ করেন। আমি বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা, এনআরবি ওয়ার্ল্ড এবং গ্লোবাল এনআরবি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি—এর অন্যতম চালিকাশক্তি। ইতোমধ্যে আমি আন্তর্জাতিক মানের অনেক বড় বড় ইভেন্ট আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজন করেছেন। খলিল ভাইয়ের উদ্যোগে, খলিল ভাই ও আমি ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ নিয়ে কাজ শুরু করি। ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’—কে সস্পূর্ণভাবে সাপোর্ট দেবে ‘ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড’ কতৃর্পক্ষ। ‘ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড’ কতৃর্পক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ অনেকটা ‘ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড’ এর আদলেই হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যও থাকবে। সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে আয়োজনের ব্যাপ্তির জায়গায়। ‘ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড’ মূলত যুক্তরাজ্যভিত্তিক। শুধু ব্রিটেনের শেফরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। কিন্ত ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হবে না। ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ এর আয়োজন সব দেশের অংশগ্রহণকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের শেফরা এই আয়োজনে অংশ নিতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শেফরা যেমন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন, তেমনি অংশ নিতে পারবেন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইতালি, ব্রিটেনসহ পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের সেফরা। সংবাদ সম্মেলনে খলিলুর রহমান আগামী বছর থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি ও মূলধারা লোকজনদের রন্ধন শিল্পের প্রশিক্ষনের লক্ষ্যে কালিনারী ইনস্টিটিউট চালুর ঘোষণা দেন।
সব শেষে, আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা মাস্টার শেফ মো. খলিলুর রহমান, সহ—প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক এনাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।