রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারুণ্যের শক্তিতে ছাত্রলীগের মানবিক পথচলা

গোলাম রাব্বানী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:১১ এএম, ৫ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার

সত্য, সুন্দর ও মানুষের মানবিক জনপদ গড়ে তুলতে সমাজের যে অংশ সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে সে অংশের নাম ছাত্রসমাজ। যুগে যুগে কালে কালে সমাজের জ্ঞান পিপাসু তরুণরাই সকল অন্যায়, অবিচার, শোষণ, বঞ্চনা, লাঞ্চনার বিরুদ্ধে সবার আগে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে। লড়াই করছে প্রাণপণ।

পৃথিবীতে যত বিপ্লব হয়েছে, যুগে যুগে যত স্বাধীনতাকামী আন্দোলন হয়েছে তার সিংহভাগে ছিল তরুণরাই। তরুণদের অকুতোভয় চেতনার আলোতেই সমাজ, দেশ বা রাষ্ট্রের প্রবীণরা আবার ফিরে পেয়েছে তারুণ্য, তারুণ্যের স্ফুরিত শক্তি।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি জ্ঞান ও অনুধাবনে ছিলেন বিচক্ষণ ও বিজ্ঞ, তরুণ বয়সেই ইতিহাস পাঠের প্রয়োগমূলক প্রচেষ্টা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ছাত্রলীগ। দেশ স্বাধীনের পর এর নাম হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আমরা যদি ছাত্রলীগের জন্মকালীন সময়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে আমরা বুঝতে পারবো কতটা সঠিক সময়ে জাতীয়তাবাদ আর অসাম্প্রদায়িক চেতনার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

একদিকে তখন সাম্প্রদায়িক ভাগাভাগির ফলাফল হিসেবে দুটি সদ্য স্বাধীন দেশ। যার একটি দেশ যেন জোর করে বানানো কোনো অসম্পূর্ণ স্থাপত্য, যে দেশে কোনো নিবিড় চেতনার সম্মিলন নেই৷ একটি দেশ, যার একটি প্রদেশ দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে ১২০০ মাইল দূরে। নেই কোনো সাংস্কৃতিক ঐক্য, ভাষার মিল; উপরন্তু স্বাধীন হওয়ার অল্পকার পর থেকেই পাকিস্তানি সরকারের বাংলার সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ।

বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন সাম্প্রদায়িক শোষকগোষ্ঠির সঙ্গে এই স্বাধীনচেতা বাঙালি জনপদ কোনোভাবেই একীভূত হতে পারবে না, কোনো দিও পারবে না সামরিক জান্তাদের পদানত হতে। বঙ্গবন্ধুর এই দূরদর্শী ভাবনার ফলই ছিলো ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন বাংলার ছাত্রসমাজই পারবে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীনতার পথে পরিচালনা করতে। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শীতা সত্য প্রমাণিত হয়।

শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি; এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই পাকিস্তানিদের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের অধিকার আদায় থেকে বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্রলীগের অদম্য- অকুতোভয় নির্ভীক দৃঢ়তার সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছিল খাজা নাজিমুদ্দিনসহ পুরো পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী।

পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের বিজয় লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ছাত্রলীগ। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান যখন তার জনবিরোধী শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে উন্মুখ হয়ে পড়ে সেইসময় আবারও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শুরু হয় গণ-আন্দোলন।

স্বাধীনতাকামী, মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক ছাত্রসমাজ আবারো পাকিস্তানি সামরিক সরকারকে বাধ্য করে গণবিরোধী প্রস্তাব বাতিল করতে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগ ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানসহ সকল গণ-আন্দোলনেই পুরো দেশের ছাত্র জনতা থেকে শুরু করে কৃষক, শ্রমিক, মজদুরদের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করে তোলে।

৭০ এর নির্বাচন এমনকি ১৯৭১ সালের ২ মার্চ বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা সর্বপ্রথম উত্তোলন করেন ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতা । এর মাধ্যমেই শুরু হয় স্বাধীনতার পথে গৌরবোজ্জ্বল পথ চলার আরেক অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় মুজিব বাহিনী।

এই মুজিববাহিনী অসীম সাহসিকতার সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে। উন্নত রণকৌশলের সঙ্গে অকৃত্রিম দেশপ্রেম- এই ছিল মুজিববাহিনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাংলার মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছাত্রলীগের বীর সেনানীরা বিজয় ছিনিয়ে আনতে রাখে অগ্রগণ্য ভূমিকা।

মুক্তিযুদ্ধের জনযুদ্ধে বিজয়ের ফলে বিশ্বের মানচিত্রে অঙ্কিত হয় একটি সদ্য স্বাধীন দেশ- বাংলাদেশ। এর আগে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় এই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঘোষিত ১১ দফা শুধু সেই সময়কার রাজনৈতিক আন্দোলনকে বেগবান করেনি, বরং এই ১১ দফার মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য যা পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যতগুলো রাজনৈতিক আন্দোলন হয়েছে তার সবগুলোতেই ছাত্রলীগ ছিলো অগ্রণী ভূমিকায়। শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্তানপন্থীরা আবার এই দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করার প্রয়াস নিচ্ছিলো তখনও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুক চিতিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও যার বিনিময়ে আমরা আজ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিক, নির্বিঘ্নে আমরা পাচ্ছি গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার।

'বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস ', বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় কথাটা বলতেন। কথাটা কিন্তু নেহায়েত মিথ্যা নয়। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগই সকল আন্দোলনে সবার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতৃত্ব দিয়েছে। আর সমসাময়িক সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিজেদেরকে নিয়োজিত করেছে উন্নয়ন আর মানবতার সড়ক নির্মাণে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন তা পূরণ করতে নির্ভীক চিত্তে লড়াই করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আর প্রধানমন্ত্রীর এই লড়াইয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সহযোগিতা করছে নিরলসভাবে।

তথাপি বাংলাদেশ এখনও উন্নয়নশীল দেশ। দারিদ্র্যের হার কমেছে কিন্ত বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত নয়। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে প্রত্যেকটি নাগরিককে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ। সেই সঙ্গে যারা তরুণ, যারা এখন শিক্ষা অর্জন করে সামনের দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে তাদের জন্য প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা। সঠিক নেতৃত্ব। আরো প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব শিক্ষার প্রয়োগিক বিদ্যাপিঠ৷

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই তরুণ সমাজদের জন্য সবচেয়ে সঠিক ও কার্যকরী নেতৃত্ব। যে সংগঠনটি ৭০ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে দেশকে, যে সংগঠনের হাত ধরে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের অভ্যুদয় ঘটেছিলো, যে ছাত্র সংগঠন প্রতিটি গণ-আন্দোলনে তরুণ সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশে রোপন করেছে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতার বীজ; একমাত্র সেই সংগঠনই পারে দেশকে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে।

সামনের পৃথিবী সংগ্রামের পৃথিবী। একদিকে যেমন শান্তিকামী মানুষেরা গণমানুষের জন্য উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে, দারিদ্র্য দূরীকরণের স্বপ্ন নিয়ে, নারীর ক্ষমতায়নের স্বপ্ন নিয়ে সংশপ্তকের মতো এগিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে তাদের রুখে দেবার জন্য ওৎ পেতে আছে নানা দেশি-বিদেশি অপশক্তি। সুযোগ পেলেই বিষদাঁত বসানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। কিন্ত এ জনপদ সংগ্রামী মানুষের জনপদ, এ দেশ প্রতিবাদীর দেশ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেমন প্রতিবাদী- অকুতোভয় মানুষেরা ভোট দিয়ে রুখে দিয়েছে মৌলবাদী শক্তিদের, বরণ করে নিয়েছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে। তেমনি আগামী দিনেও এই বাংলাদেশের মানুষ সমস্ত শক্তি দিয়ে রক্ষা করবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ৩০ লাখ রক্তের বিনিময়ে পাওয়া অনন্য অর্জন।

কিন্তু এতো আশা। যে আশা নিশ্চিত পূরণ হবে সে আশা বাস্তবায়নের জন্য চাই প্রচেষ্টা। আর এ দেশের তরুণরাই পারে জনগণের মাঝে সেই শক্তির স্ফুরণ ঘটাতে সে শক্তির বলে দূর হবে সমস্ত বাধা ও বিপত্তি, বাস্তবে রূপান্তরিত হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্নপ্ন। আর এই তরুণদের একমাত্র সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যাদের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাস।

মহামতি সক্রেটিস বলেছিলেন, 'যৌবনকাল হলো জ্ঞানার্জন ও অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে ন্যায়, সত্য ও সুন্দরের পথে যাওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময়।’ কাজেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাত্তরতম জন্মদিনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজেদের গৌরবান্বিত ইতিহাসকে স্মরণ করে যদি পুনর্বার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে, তারা যদি আরও নিবিড়ভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্মেষ ঘটাতে পারে ছাত্রসমাজ তথা পুরো তরুণ সমাজের মধ্যে, তারা যদি দেশপ্রেমের চেতনা আরও কার্যকরভাবে ছড়িয়ে দিতে পারে প্রতিটি নাগরিকের মাঝে তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন অচিরেই বাস্তবতার ময়দানে মাথা তুলে দাঁড়াবে।

যে প্রতিজ্ঞা নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেই লড়াই হবে আরও শক্তিশালী আরও কার্যকর। বাংলাদেশ হবে সারা পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সে লক্ষ্যেই উদ্যোগ নিয়েছেন ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক মমতাময়ী জননী দেশরত্ন শেখ হাসিনা৷

দুঃখজনক হলেও সত্য যে ছাত্রলীগ একটি দীর্ঘ সময়কাল তার ইতিহাসের দেখানো পথে হাঁটতে পারেনি৷ হারিয়েছিল তার গৌরব৷ কিন্তু প্রিয় নেত্রী সময়ের কাজ সময়েই করেন৷ একটি উন্নত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি দেশের নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষ্যে তিনি ছাত্রলীগকে সোনালী অতীতের পথে ফিরিয়ে নিতে নতুন নেতৃত্ব বাছাই করেন৷ যে নতুন নেতৃত্ব কাজ করে যাচ্ছে নিরন্তর-একটি আধুনিক নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রতিষ্ঠান হিসাবে ছাত্রলীগকে দাঁড় করাতে৷ এর মধ্যেই জাতির সামনে নতুন নেতৃত্বে শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ পেয়েছে গ্রহণযোগ্যতা৷

ইতিমধ্যেই ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে ছাত্রলীগ অংশ নিয়েছে স্কুল ছাত্রদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের প্রতিবাদ করেছে সবার আগে৷ প্রশাসনকে ছাত্রলীগ বাধ্য করেছে দুটি মানবিক দাবি মেনে নিতে।

একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মাত্র সাত দিনে ১৮টি জেলা ভ্রমণ করে স্থানীয় ছাত্রলীগকে নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চলিয়ে স্বাধীনতার শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করেছি ৷ সারা বাংলাদেশে ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিট সংগঠিত তরুণদের সমন্বয়ে অক্লান্ত কাজ করেছে বলেই নতুন ভোটারদের প্রথম ভোট নৌকায় এসেছে আর স্বাধীনতার মার্কা নৌকা পেয়েছে নিরঙ্কুশ বিজয়৷

ক্ষমতাসীন দল বা সরকারের দোসর হিসাবে নয় বরং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্লাটফর্ম হিসাবে ছাত্রলীগের জন্ম, সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার রক্ষাকবজ হিসাবে ছাত্রলীগের পথচলা৷ নতুন নেতৃত্বে বিগত পাঁচ মাসে ছাত্রলীগ সে পথেই এগিয়েছে৷ আজ ছাত্রলীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমাদের দৃপ্ত শপথবাক্য , ‘তারুণ্যের শক্তিতে ছাত্রলীগের মানবিক পথচলা’। এই শপথ বাস্তবায়নে আমার হাসু আপার ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর৷