শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘করজোড়ে মিনতি করছি, হিংসা-হানাহানি বন্ধ করুন’

নিউজ ডেস্ক

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে এবার কথা বলেছেন ভারতীয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। তিনি সব পক্ষকে হিংসা ও হানাহানি বন্ধের অনুরোধ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন এ অনুরোধ জানান।

ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘...বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন, আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে এমন হলো এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত, তা–ও তো ঠিকমতো জানি না। তা–ও করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি, অনুগ্রহ করে হিংসা, হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি- বাংলা ভাষার কসম, শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেয়।’

কবীর সুমন আরও লেখেন, ‘আর কী বলি, আমি তো সশরীর যেতে পারছি না ঢাকায়, পারলে যেতাম। রাস্তায় বসে পড়ে সবাইকে শান্তিরক্ষার জন্য আহ্বান করতাম।’

ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের শ্রোতাদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা রয়েছে কবীর সুমনের। ফেসবুকে তার দীর্ঘ পোস্টের শুরুতে লেখেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশি। তার বিষয়–আসয়ে নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। সেটা করতে চাইও না। তবু বাংলাদেশের অনেকের কাছ থেকে যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা ভুলে থাকতেও পারছি না। ভুলবই–বা কেন। ছবি দেখছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। মিছিল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–ছাত্রীরা। নেপথ্যে শোনা যাচ্ছে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ–কপাট/ ভেঙে ফেল্ কর্‌রে লোপাট’। মনে হচ্ছে, গানটি এডিট করে বসানো হয়েছে ভিডিওর সঙ্গে। ঠিক কাজই করা হয়েছে। কত সময়ে দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আমার গানের লাইন লিখে দিয়েছেন দেয়ালে। পশ্চিমবঙ্গে সে তুলনায় কিছুই দেখিনি। বলতে দ্বিধা নেই, মনে মনে আমি বাংলাদেশেরও নাগরিক।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমার জীবনের সেরা কাজ এবং আমার জীবনসায়াহ্নের প্রধান কাজ বাংলা খেয়াল বাংলাদেশে চর্চা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিল্পী মরহুম আজাদ রহমান বেশ কিছু বাংলা খেয়াল রচনা করে গেছেন বিভিন্ন রাগে। বাংলা ভাষা আর বাংলা খেয়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আমি বাঁধা ভালোবাসার বন্ধনে।’

পোস্টের শেষে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘হানাহানি বন্ধ হোক। বন্ধ হোক উল্টোপাল্টা কথা বলে দেওয়া। বাঁচুক বাংলাদেশ। বাঁচুন বাংলাদেশের সবাই। জয় বাংলাদেশ, জয় মুক্তিযুদ্ধ, জয় অসংখ্য বাংলাদেশির শাহাদত ও অপূরণীয় ক্ষতি স্বীকার। জয় বীরাঙ্গনার। জয় বাংলা ভাষার।’