বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শামীম ওসমানের বিজয়ে অবদান রাখলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক 

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৫:১০ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়ে টানা দ্বিতীয় বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন একেএম শামীম ওসমান। এই আসনে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সাংসদ হয়েছেন তিনি। এর আগে ১৯৯৬ সালেও তিনি এই আসনের সাংসদ ছিলেন শামীম ওসমান।

শামীম ওসমানের টানা দ্বিতীয় বার এমপি নির্বাচিত হবার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে তাঁর সহধর্মিণী লিপি ওসমান ও ছেলে অয়ন ওসমানের। একদিকে লিপি ওসমান স্বামীর পক্ষে বিভিন্ন উঠান বৈঠক করে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বেড়িয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাচনী মাঠে তেমন একটা সরব না থাকলেও ছেলে অয়ন ওসমানের ভূমিকাও ছিল উল্লেখযোগ্য। পুনরায় এমপি নির্বাচিত হবার পেছনে পরিবার ও আপনজনদের অবদান তো রয়েছেই। এই বিজয়ে আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর অবদানও উল্লেখযোগ্য। তারা নির্বাচনী প্রচারণায় রাত-দিন এক করে খেটেছেন শামীম ওসমানের জন্য। এই তালিকায় রয়েছেন, বিএনপির সাবেক এমপি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা এহসানুল হাসান নিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর শিরিন বেগম, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম রাফেল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে হেভিওয়েট নেতা হিসেবে শামীম ওসমানই মনোনয়ন পাবে এমনটাই আলোচনা ছিল। শেষ মুহুর্তে দেখা যায়, শামীম ওসমানই এই আসনে মনোনয়ন পান। মনোনয়ন পাবার আগে থেকেই বিভিন্ন কর্মীসভার মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করে নেন। মনোনয়ন পাবার পর থেকে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় একটানা উঠান বৈঠক, পথসভা, গণসংযোগ চালান তিনি। পুরো প্রচারণার সময় জুড়ে প্রায় সাড়ে চারশ’রও উপরে উঠান বৈঠক করেন তিনি। মনোনয়ন পাবার পূর্বের কর্মীসভা থেকে শুরু করে মনোনয়ন পাবার পর বিভিন্ন প্রচারণার প্রতিটি আয়োজনে সক্রিয় ছিলেন উল্লেখিত নেতারা। শামীম ওসমানের বিজয়ে এইসব নেতাকর্মীদের ভূমিকা অন্যতম।

প্রসঙ্গত, একেএম শামীম ওসমান সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৬ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।