জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্মারকলিপি আওয়ামী লীগের
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৫৭ এএম, ৩ আগস্ট ২০২৪ শনিবার
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসকে স্বাক্ষরলিপি দিল যুুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটান্র্স’১৯৭১- ইউএসএ। সমাবেশ স্থলে এসে মহাসচিবের পক্ষে পদস্থ কর্মকর্তা আদিত্য অধিকারি এই স্মারকলিপি গহণ করেন।
২৯ জুলাই সোমবার স্বারকলিপি প্রদানের আগে দুপুরে জাতিসংঘের সামনে শান্তি সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। সমাবেশ থেকে জনস্বার্থে খুব শিগগির দেশে সন্ত্রাস বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীদের বিচারের কাঠগড়ায় আনার দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে বিভিন্ন সংগঠনের ৬২ জনের স্বাক্ষর রয়েছে।
স্বারকলিপি প্রদান ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লী, বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটান্র্স’১৯৭১- ইউএসএ ও আওয়ামী লীগ পরিবারের নেতা ড.প্রদীপ কর, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটান্র্স’র প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, ইঞ্জিনিয়ার ফরাসাত আলী, ডা. মাসুদুল হাসান, শফিকুল আলম, শামসুদ্দিন আজাদ, লুৎফুল করিম,মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাসিব মামুন, আব্দুর রহিম বাদশা,মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, হাজী এনাম, মাহবুবুর রহমান টুক, আবুল মনসুর খান, সোলেমান আলী,শাহ মোঃ বখতিয়ার আলী, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, এম এ সালাম, শরাফ সরকার, খোরশেদ খন্দকার, হাকিকুল ইসলাম খোকন, আব্দুল হামিদ, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, মুজিবুর রহমান মিয়া, শাহিন আজমল, রফিকুর রহমান রফিক, ইমদাদ চৌধুরী, শেখ আতিক, সিরাজ উদ্দিন সোহাগ, সাখাওয়াত আলী, গোলাম রব্বানী চৌধুরী, রমেশ নাথ, মোর্শেদা জামান, নূরুল ইসলাম নজরুল, আবদুল মুহিত,মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ বাতেন,মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি, শাহনাজ মমতাজ, ফরিদা ইয়াসমিন, নার্গিস আহমেদ বিউটি, মিনা ইসলাম, সেলিনা আক্তার সুইটি, নুরুজ্জামান সরদার,লস্কর জুয়েল, কাজী আজিজুল হক খোকন, জুয়েল আহমেদ, নুরুল আমিন বাবু প্রমুখ।
স্বারকলিপি গ্রহণের পর মহাসচিবের রাজনীতি সম্পর্কিত কর্মকর্তা আদিত্য অধিকারি জানান যে, বাংলাদেশের ব্যাপারে জাতিসংঘের গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে। এবং আমরা সকলে সবসময় বাংলাদেশের সাথে নানা ইস্যুতে কাজ করছি। সে আলোকে এই স্মারকলিপির ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলা হবে।
সমাবেশে বক্তরা বলেন,বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সকল দাবি মেনে নেয়ার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীগণের সমন্বয়কারিরা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে সমস্ত কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এ অবস্থায় বিএনপি-জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্রকারি-জঙ্গিরা নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে শিক্ষার্থীগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বক্তরা স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির-রাজাকারদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এবং দেশ-বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার দায়ে অবিলম্বে সকলকে গ্রেফতারের দাবিও জানান।
জাতিসংঘের সমাবেশে ‘জামাত-শিবির-রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনার সরকার-বারবার দরকার’ ‘তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি’ ইত্যাদি শ্লোগান দেয়।
এই সংগঠন দুটি পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় একই দাবীতে শান্তি সমাবেশ করে।