ক্ষমতার শেষ কয়েক ঘণ্টা কেমন ছিল শেখ হাসিনার?
নিউজ ডেস্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ৬ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদফা দাবির দ্বিতীয় দিনেই সরকারের পতন ঘটে। ১৫ বছরের বেশি সময়ে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার শেষ কয়েক ঘণ্টা কেমন ছিল?
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে গণভবনে শেষ কয়েক ঘণ্টা কেমন কেটেছে তাঁর। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে, সোমবার বেলা আড়াইটার পর সামরিক উড়োজাহাজে করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন রাজনৈতিক আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে। এর আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বুঝতে পেরে শেখ হাসিনার উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নেতা। কিছুতেই তিনি মানতে চাচ্ছিলেন না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। সোমবার কারফিউ কড়াকড়ি করতে চাপ দেন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রের বরাতে একটি গণমাধ্যম জানায়, সকাল ১০টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে গণভবনে ডাকেন শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না নিতে পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বিশ্বাস করে তাদের শীর্ষ পদে নিয়োগ দিয়েছেন বলেও হতাশা প্রকাশ করেন। পুলিশ ভালো ভূমিকা রাখছে, বাকিদেরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন।
পরিস্থিতি আর সামাল দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তাঁকে পদত্যাগের কথা বলা হয়। তবে তিনি তা মানতে চাচ্ছিলেন না। পরে কর্মকর্তারা শেখ রেহানার সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থির কথা জানান। শেখ রেহানা তখন বড় বোনকে বোঝান। তবে তাতেও রাজি হননি শেখ হাসিনা। পরে এক শীর্ষ কর্মকর্তা কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে। পরে জয়ের কথায় পদত্যাগে রাজি হন শেখ হাসিনা। তবে জাতির উদ্দেশে একটি ভাষণ রেকর্ড করতে চান।
তবে গণভবন অভিমুখে লাখ লাখ ছাত্র-জনতা আসছে এমন সংবাদে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া হয় শেখ হাসিনাকে। ফলে ভাষণ রেকর্ড করার সময় পাননি তিনি। এরপর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে হেলিপ্যাডে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁদের কয়েকটি লাগেজ ওঠানো হয়। তারপর তাঁরা বঙ্গভবনে যান। সেখানে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেন শেখ হাসিনা।