মাবুদের বিশেষ দান
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার
ধৈর্য ক্ষমতা অর্জিত হলে এ পথেই ফুটে বেরোয় সৌন্দর্যময়তা। পুণ্যবানদের সঙ্গে ওঠবসের আগ্রহ জন্মায়। লাঞ্ছনা-যাতনা দূর হয় জীবন থেকে। নীচুতা পুরোমুখাপেক্ষিতা দূর হয়। আগ্রহ আসে কল্যাণের জন্য। উঁচু মর্যাদার অধিকারী হয়।
ক্ষমা করার ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। মনে প্রশান্তি আসে। সাদা মানুষ হওয়া যায়। জীবনজুড়ে নীরবতা বয়ে যায় তখন। ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা থেকে এভাবেই উপকার পায় বুদ্ধিমান।
জ্ঞানী হওয়া যায়
জ্ঞানীর অভাব থাকে না নিঃস্ব হলেও। কৃপণ হলেও জ্ঞানী দানশীল হয়। জ্ঞান থেকে ব্যক্তিত্ব ও ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে। জ্ঞানী রুগ্ন হলেও সুস্থ। জ্ঞান দূরকে কাছে রাখে। লজ্জাশীল হয় জ্ঞানী। অধীনস্থ হলেও জ্ঞানী জ্ঞানের জন্য মর্যাদাবান।
খাটো বংশে জন্মেও জ্ঞানের অভিজ্ঞতা থাকে। জ্ঞানেই আসে প্রজ্ঞা। জীবনের সুন্দর সময়। এ সবই বুদ্ধিমানের বুদ্ধির ফসল। সেই ধন্য, যে আকল খাঁটিয়ে জ্ঞান অর্জন করেছে।
চিন্তাশীল হলে চিন্তা থেকে চাষ হয় অবিচল থাকার গুণ। জীবনে নেমে আসে হেদায়েত। সৎকর্মের ইচ্ছা বাড়ে। সৃষ্টি হয় গভীর সংযম। এতেই জীবনের সফলতা আসে। চিন্তাশীল হয় মধ্যপন্থী। জীবন থেকে মিথ্যাচার পালায়। চিন্তার পারিশ্রমিক হচ্ছে পুণ্য।
চিন্তাই মর্যাদার মাপকাঠি। স্রষ্টার সৃষ্টিকে বোঝে চিন্তাশীল। ধন্য তার জীবন, যে সময়োচিত চিন্তাটি করতে পারে।
যে কারণে পবিত্রতা প্রয়োজন
চরিত্র পবিত্র হলে জীবনে সন্তুষ্টি আসে। প্রশান্তি মেলে। উপকৃত হওয়া যায়। মেলে শান্তির সন্ধান। হওয়া যায় যাচাইকারী। বিনয় হয় স্বভাব। মাবুদের সার্বক্ষণিক স্মরণ আসে দিলে। মন পড়ে থাকে চিন্তা-গবেষণায়। বদান্যতা সৃষ্টি হয়ে অসীম উদারতা আসে প্রাণে।
বিবেকবানের পবিত্রতা থেকে এসব তৈরি হয়। আল্লাহর দেয়া তকদিরে খুশি হয় সে।
আত্মসংযমীর উপকার
সংযম কল্যাণ চিন্তায় এগিয়ে দেয় মানুষকে। বিনয়ী বানায়। গভীর ধ্যানী বানায়। ক্ষমা চাওয়ার প্রেরণা জোগায়। প্রখর করে বোধশক্তি। শিষ্টাচার শেখায়। সদাচারী বানিয়ে দেয়। বন্ধুসুলভ স্বভাব তৈরি করে দেয়। পরোপকারী স্বভাব অর্জন হয়। সুন্দর সাদা দিল মানুষ হয়ে যান সংযমী। কেবল বিবেকবানরাই এসব থেকে সংযম অর্জন করে সমাজে সম্মানিতও হন।
লজ্জা থেকে যা হয়
নমনীয়তা লজ্জাশীলের গুণ। দান করে আনন্দ পায়। এ বান্দারা প্রকাশ্যে-গোপনে খোদার পাহারাকে স্মরণ রাখে। সার্বক্ষণিক সুস্থতা এদের কাম্য। ভাবতেই পারে না মন্দ কিছু। আত্মার সমৃদ্ধি অর্জিত হয় এদের। স্বভাবে পরিণত হয় দানশীলতা। জীবনে এরাই বিজয়ী। মানুষ এদেরই যুগ যুগ ধরে স্মরণ করে।
বিবেকবান এ সবই লজ্জার বিনিময়ে অর্জন করে। সফল তো সেই বান্দাই হয়, যে মাবুদের নসিহত গ্রহণ করেছে। আর মাবুদের নিষেধকে ভয় করে জীবন ধারণ করেছে।
হিজরি চতুর্থ শতকে লেখা আবু মুহাম্মদ হাসান হাররানির আরবি গ্রন্থ তুহাফুল উকুল। সে সময় অনেক খেটে-খুঁটে আহলে বাইতবিরোধীদের রক্তচক্ষু এড়িয়ে এ গ্রন্থে তিনি নবী পরিবারের উপদেশগুলো জড়ো করেছেন। শুধু যুগান্তর পাঠকের জন্য দুর্লভ এসব উপদেশ একটু একটু করে উপস্থাপন করছেন ব্যতিক্রমী লেখক ও কোরআন ভাবুক।