মধুর ক্যান্টিনে আছে ‘আয়নাঘর’, যেতে হয়েছিল তাবীবকে
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:৫০ এএম, ১৩ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি নিয়ে ২০১৯ সালে গান বেঁধেছিলেন মাহমুদ হাসান তাবীব। গানের শিরোনাম ‘হিপহপ পুলিশ’। কথা, সুরের পাশপাশি গানটিতে কণ্ঠ দেন গাল্লিবয়’খ্যাত তবীব মাহমুদ ও রানা মৃধা। গানটি প্রকাশের পর বেশ চাপের মুখে পরতে হয় তাবীবকে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থাকা আয়নাঘরেও যেতে হয়েছিল এই গায়ককে।
তাবীবের কথায়, ‘আমি সব সময় দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গান বেঁধে থাকি। যারা আমার গান শুনেছেন, তারা একথা জানেন। “হিপহপ পুলিশ” গানটি ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকাশ হয়। গানটি প্রকাশের পরপরই সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে আমার বাবাকে ফোন করে নানা কথা বলা হয়। শুধু তাই নয়, অনেকেই আমাকে এ ধরনের গান গাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন। আমার পরিবার সেসময় আমাকে নিয়ে খুব ভয়ে ছিল। এক কথায় বলতে, আমার কণ্ঠ অনেকটাই চেপে ধরা হয়েছিল সেসময়।’
সেসময়ের কথা স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, ‘গানটি প্রকাশের পর আমাকে মধুর ক্যান্টিন থাকা গোপন আয়নাঘরেও যেতে হয়েছে। সেই সময়টাতে মানসিক অনেক যন্ত্রণার মধ্যদিয়েও যেতে হয়েছে আমাকে। যাই হোক, এখন সময় এসেছে কথা বলার। এখন আর চুপ থাকার সময় নেই, মন খুলে গান গাইতে চাই। গানে গানে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে চাই।’
‘হিপহপ পুলিশ’ গানটি আবার প্রকাশ্যে এনে শিল্পী শেয়ারবাজার ধসের তদন্ত করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
এদিকে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন তবীব। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মা প্রকাশ করে লিখেছেন গানও। গেল ৪ জুলাই ফেসবুকে শিল্পী প্রকাশ করেন গান ‘কোটা সাম্যের পৃথিবীর কুসংস্কার’। গানের কথায় তিনি তুলে ধরেন পথশিশুদের কথাও।
এ প্রসঙ্গে তবীব বলেন, ‘সংস্কার সবখানেই করতে হবে। টাকার অভাবে অনেক শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা কি ওদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারি না? প্রতিটি স্কুলে কি ওদের জন্য কোটা রাখা যায় না? সবাই একটু ভেবে দেখবেন।’
সবশেষে গায়ক বলেন, ‘এখন পরিবর্তনের সময় এসেছে। বাংলাদেশ নতুন করে সংস্কার করতে হবে। আর আমি এটি নিয়ে অনেক বছর ধরেই কাজ করছি। আমার কাছে দেশ সংস্কারের একটি ম্যাপ তৈরি করা আছে। যেখানে দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ তৈরি করা। আশা করি, বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আরও কাজ করা হবে।’