হোয়াইট হাউস: শেখ হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৭:২১ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার
হোয়াইট হাউস বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ জনগণেরই নির্ধারণ করা উচিত
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস।
সোমবার (১২ আগস্ট) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা” বলে অভিহিত করেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়েরে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জনিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ও দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। তার ক্ষমতাচ্যুতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে কেউ কেউ।
এর আগে ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ভূমিকা পালন করছে কারণ তারা বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়। পত্রিকাটি বলেছে, হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।
তবে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেছেন, তিনি (হাসিনা) কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।
এসব নিয়ে আলোচনার মধ্যেই কারিন জাঁ-পিয়েরে বলেন, “আমাদের আদৌ কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে যদি কোনো প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয় তবে তা নিছক মিথ্যা।”
হোয়াইট হাউস আরও বলেছে, “আমরা বিশ্বাস করি- বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জনগণেরই নির্ধারণ করা উচিত এবং আমরা সেটিকেই সমর্থন করি।”
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের সামনে সমাবেশ হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, “আমরা অবশ্যই অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে থাকবো। এর বেশি আমার বলার কিছু নেই। তবে যখনই মানবাধিকার ইস্যু চলে আসে – তখন প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে এবং গোপনে পরিস্কারভাবে কথা বলেন। এখন এরকম কিছু নেই। তিনি (প্রেসিডেন্ট) এই কাজ করতে থাকবেন, কিন্তু এই মুহূর্তে বলার মতো কিছু নেই।”
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর গত বৃহস্পতিবার নোবেল শান্তি বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে।