শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন

আয়নাঘর কাণ্ডে বিপাকে টিউলিপ

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৫৯ এএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪ সোমবার

 সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে যুক্তরাজ্যের নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকও বাংলাদেশের আয়নাঘর কান্ড নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাঁকে নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর   ছেলে ব্যারিস্টার আহমদ বিন কাসেমকে (আরমান) গুম করা হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ‘আয়নাঘর’ নামে গোপন কারাগারে, যেখানে তিনি দীর্ঘ আট বছর বন্দি ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে গত আট বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো গোপন কারাগার থেকে বের করা হয় ব্যারিস্টার আহমদ বিন কাসেমকে। ৪০ বছর বয়সি কাশেমকে একটি গাড়ি থেকে ঢাকার উপকণ্ঠে একটি কর্দমাক্ত খাদে জীবিত ফেলে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আট বছরে এই প্রথম আমি তাজা বাতাস পেলাম। আমি ভেবেছিলাম ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’  কাশেমের পরিবারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশেমকে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্ত করতে যুক্তরাজ্যের ‘সিটি মিনিস্টার’ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে সহায়তা চেয়েছিল তার পরিবার। তবে তারা সহায়তা পাননি। প্রতিবেদনে বলা হয়, খালা শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় এক দশক ধরে আটক ব্রিটিশ-প্রশিক্ষিত ব্যারিস্টার কাশেম আরমানকে সাহায্য করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন টিউলিপ। ২০১৬ সালে নিখোঁজ হওয়া ৪০ বছর বয়সি কাশেম আরমানের আইনজীবীরা বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবহার করে তাকে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি দিতে পারতেন। তবে তিনি তা করেননি। আরমানের আইনজীবী মাইকেল পোলাক বলেন, বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে অবহিত হওয়ার পরেও টিউলিপ শেখ হাসিনাকে তার মহান আদর্শ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আমরা টিউলিপ সিদ্দিককে তাঁর খালার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে এ বিষয়ে (আরমানের মুক্তির বিষয়ে) কথা বলার জন্য সম্মানজনকভাবে অনুরোধ করেছিলাম। এই অনুরোধ আমার ও আরমানের মায়ের পক্ষে থেকে করা হয়। তিনি টিউলিপকে, নিজের ছেলেকে তার ছোট দুই মেয়েসহ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য হস্তক্ষেপ করতে বলেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত, টিউলিপ সাহায্য না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যখন বিপাকে তখনই তাঁর বিরুদ্ধে ‘নিজের বাসা ভাড়া দিয়ে তার খালা শেখ হাসিনার বিশেষ বন্ধু আবদুল করিমের দুই মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বিলাসবহুল বাসায়’ বর্তমানে অবস্থান করার অভিযোগ উঠেছে।