সেই ‘দাপুটে মহিলা’ যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৪৮ এএম, ৩১ আগস্ট ২০২৪ শনিবার
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সাথে ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাসের পলিটিকাল কাউন্সিলর আরিফা রহমান রুমাকেও ঢাকায় তলব করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন সময় পর্যন্ত মোহাম্মদ ইমরানকে কাজ চালিয়ে যাবার মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরিফা রহমান রুমাকে তলব করায় দূতাবাসে এখন স্বস্তির বাতাস বইছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মন্তব্য করেছেন। দূতাবাসে তিনি ‘দাপুটে মহিলা’ হিসেবে সবার আতংকের কারণ ছিলেন। কথায় কথায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে এনে সবাইকে তঁস্থ রাখতেন। তার মুখে সর্বদাই শোনা যেত প্রধানমন্ত্রীর সাথে ‘টেক্সট ম্যাসেজে’ তার আলাপচারিতার কথা। দূতাবাসে তাকে বলা হতো ‘এইচপিএম’ অফিসার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লোক। আরিফা রহমান রুমা সম্পর্কে জানা গেছে, ক্যাডার সার্ভিসের না হয়েও রাজনৈতিক বিবেচনায় তার পোষ্টিং হয়েছিল ওয়াশিংটনে। গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ ছিল তার ওপর। ছিল ছাত্রলীগ করার রেকর্ডও। সোশাল মিডিয়ায় প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতার সাথে তার ঘনিষ্ঠতার ছবিও দেখা যায়। সরকারি চাকুরি করেও গত জুলাই আগষ্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আন্দোলন বিরোধী একাধিক পোষ্ট দিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তার বেশ উত্থান-পতন রয়েছে। প্রথম বিবাহ টেকেনি। প্রথম স্বামীকে নিজেই ডিভোর্স দিয়েছেন। এ পক্ষের ২টি সন্তান রয়েচে। ৪৫ বছর বয়স্কা রুমা পরে আওয়ামীপন্থী আইনজীবি ফোরামের নেতা ও সাবেক এটর্নি জেনালে এডভোকেট মাহবুবে আলমের সন্তানের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অবশ্য এডভোকেট মাহবুবে আলমের ছেলেরও ছিল এটি তৃতীয় বিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। গত এক বছর ধরে রুমার স্বামী আলাদা রয়েছেন। আরিফা রহমান রুমা বাংলাদেশে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত ছিলেন। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন টিভি টক শো’তেও অংশ নিতেন।
আরিফা রুমা বাংলাদেশে ফেরত যাচ্ছেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থণার জন্য তিনি ইতোমধ্যে ওয়াশিংটনে এক ইমিগ্রেশন ল’ইয়ারের শরণাপন্ন হয়েছেন।