সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিথ্যা মামলাকারীদের মুখোশ খুলে দিতে হবে

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:২৬ এএম, ৩১ আগস্ট ২০২৪ শনিবার

সংবাদ সম্মেলেনে মহিউদ্দিন দেওয়ান

 
 
একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশ সোসাইটিকে নিজেদের হাতে রাখতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে মানুষকে হেনস্থা ও মানসিক নির্যাতন চালায়। ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ মিথ্যা মামলার শিকার না হন সেজন্য তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান। সোসাইটির কোষাধ্যক্ষের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় জয়ী হয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এক সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম ভূইয়া, স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য, কার্যনির্বাহী সদস্য ফারহানা চৌধুরী ও আক্তার বাবুল উপস্থিত ছিলেন।
মহিউদ্দিন দেওয়ান বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটির অফিসে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে করা মামলায় সকল অভিযোগ থেকে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। কিন্তু গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমি ও আমার পরিবার নিদারুন মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি না হয় বাদই দিলাম। তাই আমি মামলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে চাই যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা এবং প্রতারণার শিকার কেউ না হন। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে জনগণের সেবার কথা বলে নির্বাচিত হয়ে যে গোষ্ঠী ব্যক্তিস্বার্থে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হেনস্থা ও মানসিক নির্যাতন করে সমাজের কাছে, কমিউনিটির সামনে তাঁদের মুখোশ উমোচন করা দরকার।
তিনি বলেন, নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর জুলাই পর্যন্ত সোসাইটির কোন হিসাব পাইনি। তাই কার্যকরী কমিটির সভায় সেসাইটির কার্যক্রমের হিসাব চাওয়া হলে তাকে কেন্দ্র করে এক অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে। সভা শেষের আগেই সভাপতি আব্দুর রব মিয়া এবং অন্যরা বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেন। কিন্তু সোসাইটির ট্রেজারার নওশাদ হোসেন ঘটনার নিষ্পত্তির কয়েক ঘন্টা পর মিথ্যা অভিযোগ করে সোসাইটি অফিসে প্রবেশ করে পুলিশ ডাকেন। তার মিথ্যা, এবং বানোয়াট অভিযোগের কারণে পুলিশ আমাকে প্রিসিঙ্কটে ডাকে। পরে ট্রেজারার নওশাদ হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে। পুলিশ এবং এসিস্টেন্ট ডিস্ট্রিক্ট এটর্নির পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়, মিথ্যা অভিযোগটি মেনে নিলে আমাকে খুবই সামান্য শাস্তি দিয়ে মামলার সমাপ্তি টানা হবে। কিন্তু যে অপরাধ আমি করিনি, সে অপরাধের দায় আমি নেবো কেন? মূলত আমাকে বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকান্ড থেকে বাইরে রাখা এবং হেনস্থা করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই নওশাদ হোসেন তার আঙ্গুল ভেঙে গেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করে। তার পক্ষে মামলায় জুরী বোর্ডের সামনে সাক্ষী হন সোসাইটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক চৌধুরী এবং কার্যকরী পরিষদের সদস্য সাদী মিন্টু। কিন্তুবিজ্ঞ জুরী বোর্ড তাঁদের বক্তব্যকে গ্রহণ করেনি। কোনো অভিযোগ আমলে নেয়নি। সব অভিযোগ থেকে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনজীবিদের সঙ্গে কথা বলে আমি পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।
মহিউদ্দিন বলেন, একটি পক্ষ সোসাইটিকে নিজেদের দখলে রাখতে চায়। অজ্ঞাত কারণে ভোটাভুটিতে তিনবার নির্বাচন করে ফেল করা ব্যক্তিকে ট্রাস্টে বোর্ডের সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে। নিয়মিত হিসাব দেয়া হয় না। সব জায়গায় বাহুবলের রাজনীতি চলে। এ গোষ্ঠিটি যাতে আবার নির্বাচনে জয়ী হতে না পারে সেজন্য তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।
ফারহানা চৌধুরী বলেন,  এর আগে কোষাধ্যক্ষ মো. আলী প্রতিটি মাসিক মিটিংয়ে সোসাইটির আয় ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরতেন। এ কমিটিতে তেমন কোন হিসাব পাচ্ছিলাম না।  কারণ এর আগে প্রায় ছয় মাস সমিতির কোন ব্যাংক স্টেটমেন্টের হিসাব দেয়া হচ্ছিল না। সে বিষয়ে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। ঘটনার আগে একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ই ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে কি পরিমান আয় ব্যয় হয়েছিল সে হিসাবে চাওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান মহিউদ্দিনকে আক্রমণ করেন। সভাপতি সহ অন্যরা তাকে আটকে রাখতে পারেনি। কিন্তু এই ঘটনায় তিনি উল্টো মামলা করেন।