দিলীপ আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তারে অভিযান
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ১২:৩৫ এএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বুধবার
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালার গুলশানের অফিস ঘিরে রেখেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। জানা গেছে, দ্রুতই অফিসটিতে কর্মকর্তারা অভিযান শুরু করবেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস অভিযানের কথা জানান।
তিনি বলেন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ডায়মন্ডের বদলে উন্নতমানের কাচের টুকরো বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুলশানের অফিসটিতে অভিযান চালানো হবে।
এর আগে সোনা ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর কথা জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদুর রহমান তিনি এ সব তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরা বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
তারা দুবাই- সিঙ্গাপুরে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেটও নিয়ন্ত্রণ করে। ভারতের কলকাতা শহরে তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে। প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে পাওয়ায় সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট অনুসন্ধান শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, সোনা চোরাচালান, হীরা প্রতারণা, হুন্ডি বাণিজ্যসহ অজ্ঞাত সূত্রে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া দিলীপ কুমার আগরওয়ালকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার আটকের পর।
পুলিশের কাছে পিয়াসার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। সিআইডি পিয়াসাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, অবৈধভাবে আনা সোনা ও ভেজাল ডায়মন্ড, হীরা দিলীপের কাছে কম মূল্যে বিক্রি করত মিশু-পিয়াসা চক্র। যাতে সরকার বিপুল পরিমাণ কর থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। শুল্ক কর্মকর্তারা অনুসন্ধান চালালে তার শুল্ক ফাঁকির আরো অনেক তথ্য পাবে বলেও দিলীপের একসময়ের ঘনিষ্ঠজনরাও দাবি করেছেন।
অবৈধভাবে অর্থপাচারের মাধ্যমে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি ও ১১টি বাড়ি করেছেন, কানাডা ও দুবাইয়েও তার আলিশান বাসভবন আছে বলে দুদকের কাছে দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এসব টাকার উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থাগুলো কোনো ব্যবস্থা নেয় না।