আনসার আন্দোলনের ২ ইন্ধনদাতা সদস্য গ্রেপ্তার
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৪০ এএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বুধবার
সচিবালয় অবরুদ্ধ করে আনসারদের আন্দোলন সৃষ্টি করানোর দুই ইন্ধনদাতা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- মো. সোহাগ মিয়া ও মো. মিজানুর রহমান তুহিন।
তারা আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ঢাকা জেলা পুলিশ আনসার সদস্য মো. সোহাগ মিয়াকে মঙ্গলবার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার পারমাস্তল গ্রামে। অপর আনসার সদস্য মো. মিজানুর রহমান তুহিনকে একই দিনে রামু থানাধীন কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের দুর্গম টিলাপাড়া এলাকার পাহাড়ি জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। তিনি কক্সবাজার জেলার সদর থানার চৌফলদন্ডী গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে, গত ২৫ আগস্ট চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দিনভর সচিবালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। রাত পর্যন্ত সচিবালয় থেকে কাউকে বের হতে দেননি তারা। এমনকি রাতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও সচিবালয়ের সামনে মারধর করেন। এ সময় সচিবালয়ের ভেতরে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মিলে আনসার সদস্যদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বাধে। এতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৬০ জন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকার চার থানায় চারটি মামলা হয়। এতে চার শতাধিক আনসারের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চার হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর আটক ৩৮৮ আনসার সদস্যকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৬ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেনের আদালতে ৩৮৮ জন আনসার সদস্যকে হাজির করে চার থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে শাহবাগ থানার মামলায় ১৮৯ জন, রমনা থানার মামলায় ৯৮ জন, পল্টন থানার মামলায় ৯৫ জন ও বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৬ আনসার সদস্যকে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।