শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৫ ১৪৩১   ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারা সময়মতো আসবে!

মাহবুবুর রহমান

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:২৩ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার

মন্তব্য প্রতিবেদন 

                       
                 

          সিংহের গর্জন ভয়ংকর, যে কারো মনে আতংক জাগায়। গল্প আছে, একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তুমি এতো গর্জো কেন? সিংহের উত্তর, ভয় পাই। আওয়াজে কেউ কাছে ভিড়ে না।
           আমাদের ছাত্র সমন্বয়ক সারজিস আলম গর্জন করার চেষ্টা করেন, শারিরীক সীমাবদ্ধতার জন্য তা হয়ে উঠে না, গাড়ীর ব্রেক কষার ‘ক্যাড় ক্যাড়’ হয়ে যায়। ভালো হয়, তিনি যদি স্বাভাবিক কথা বলেন। শ্রুতিমধুর হবে।
           ‘গর্জন’ আজকের বিষয় না। আমার জানার ইচ্ছা, ক্লাসের বাইরে ছাত্রদের আর কতদিন দায়িত্ব পালন করতে হবে? এ প্রশ্নে কেউ কেউ লাফিয়ে উঠতে পারেন, ‘আপনার মতলব সুবিধের নয়। শূণ্য মাঠে গোল দিতে চান?  তা হবে না।’
           দুঃখিত, আমার সে খায়েশ-যোগ্যতা, কোনটাই নেই।  জানতে চাইছিলাম, দ্বৈত শাসনতো দীর্ঘকাল চলতে পারে না। সারাদেশে অরাজক পরিস্থিতি। মব জাস্টিস। শিক্ষক প্রহার। যারে-তারে ধরে মারধর। ঢাকায় জিন্নাহর স্মরণ সভা, মাজার ভাঙচুর। হজরত শাহজালাল (রঃ) সহ ৩৬০ আউলিয়া সিলেট অঞ্চলে ইসলামের আলো ছড়িয়েছেন। এখন তাঁদের মাজারে হামলা! এরা কোথাকার  মুসলমান? অজুহাত তোলা হয়, মাজারে গান-বাজনা, গঞ্জিকার।  ভালো কথা, ওয়াজ করো, মানুষকে বুঝাও। জনসচেতনতা বাড়াও। তাই বলে পুলিশের ভূমিকায় তোমাকে নামার কে অধিকার দিয়েছে? কে অধিকার দিয়েছে হাতুড়ি-শাবল ঠুকে মাজার ভাঙ্গার?  নেটিজেনরা বলছেন, মোদির ভয়ে এরা মন্দির পাহারা দেয়। মাজার ভাঙ্গতে অসুবিধে কোথায়? এখানে কোন মোদি নেই!
এ দিকে গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই। ভয়াবহ লোডশেডিং। তিনটি সারকারখানা বন্ধ । বন্ধ  শত শত গার্মেন্টস। পাম্পে গ্যাসের জন্য লম্বা লাইন। দেউলিয়া হওয়ার পথে দশ ব্যাংক। গ্রাহকরা নিজের টাকা তুলতে পারছেন না। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে হু হু করে। ভারতের আদানির বিদ্যুৎ বিল ও (রাশিয়ার) রূপপুরের নিউক্লিয়ার বিল সুদে-আসলে বাড়তেই আছে। পরিশোধের চাপ দিচ্ছে পাওনাদাররা। নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের।  এর মাঝে বলা শুরু হয়েছে ‘আগের সরকারই ভালো ছিলো।’  
              স্বৈরাচারের (?)কে কোথা দিয়ে ঢুকে পড়লো তার চেয়ে এই মূহূর্তে জরুরী দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা। দ্বৈত শাসনের অবসান। ছাত্রদের কর্তৃত্বকে অকার্যকর ঘোষণা। জনতা আছে, তারা পূরণ করবে ছাত্রদের স্থান।
              সবচেয়ে বড় কথা, স্বৈরাচারের লোকজনতো বাইরে থেকে আসবে না। তারাতো দেশেই আছে। স্বৈরাচারের দল নির্বাচনে ৪০ থেকে ৪৩ শতাংশ ভোট পায়। বাংলাদেশে এমন কোন গ্রাম বা পাড়া-মহল্লা নেই যেখানে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক নেই। তারা সময়মতো ঠিকই আসবে। কি ভাবে, কোথা দিয়ে, কি করে, কোন সময়ে আসবে তা আপনিও জানেন না, আমিও জানি না। তবে ইতিহাস বলে, বাস্তবতা বলে, তারা আসবে।  ফিরে আসবে!