জেবিবিএ’র মিলাদে ধর্ম উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:০১ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের (জেবিবিএ) মিলাদ মাহফিলে ধর্ম উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। গত সোমবার জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেষ্টুরেন্টে বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের (জেবিবিএ) আয়োজনে পালিত হলো পবিত্র ঈদে মিলাদুননবী। মাহফিল থেকে বাংলাদেশে উগ্রবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠী কর্তৃক মাজার ভাংগা বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়।
মাহফিলে সভাপতিত্ব এবং আখেরী মুনাজাত করেন আহলে বাইত জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ডঃ সাইয়েদ মুতাওয়াককিল বিল্লাহ রববানী বদরপুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জ্যাকসন হাইষট বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) এর সভাপতি গিয়াস আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ডঃ সাইফুল আজম বাবর আল আজহারী, প্রধান বক্তা ছিলেন মুফতি ডঃ সৈয়দ আনসারুল করিম আজহারী, গেষ্ট এব অনার হিসেবে যথাক্রমে আললামা সুফি আবদুল মুনতাকিম (লন্ডন) , মওলানা হেলাল উদ্দিন সিরাজী (জার্মান) , বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্িত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মওলানা মুহাম্মদ এমদাদুল হক, মোওলানা ইমাম কাজী কাইয়ুম, মুফতি হাফেজ কাওছার আহমেদ। সুচনা বকতব্য রাখেন জেবিবিএর সাধারন সম্পাদক ফাহাদ সোলাইমান। নাত ও গজল পরিবেশন করেন পাকিস্তান থেকে আগত বিখ্যাত না’ত খা কারী হাসসান বিন খুরশিদ এবং কারী মুহাম্মদ ফারুক । কুরআন তেলাওত করেন সাইয়েদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রববানী এবং নাত পেশ করেন হাফেজ টিপু রহমান।
আমেরিকার মুলধারার রাজনীতিক ,বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ অর্ন্তবর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, পত্র-পত্রিকায় দেখেছি উগ্র মৌলবাদী আহলে হাদিসের আলেমদের সাথে এই ধর্ম উপদেষ্টার সখ্যতার কথা। এই উগ্রবাদী আহলে হাদিসের আলেমরা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের ছাত্র জনতার আন্দোলনকে নাজায়েজ এবং কুফরি বলে হুংকার দিয়ে আন্দেলনকে দমন করতে চেয়েছিল। এই উগ্রবাদী আহলে হাদিসের আলেম ওলামারা পতিত স্বৈরাচার সরকারের সাথেও সখ্যতা রেখে ফায়দা হাসিল করেছে। ওলি আওলিয়াদের মাজার ভাংগার দায় নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন গিয়াস আহমেদ।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত চলছে। একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে মৌলবাদী রাষ্ট্রের কালিমা লেপন করবার চক্রান্ত করছে। বক্তাগণ আরো বলেন, আল কোরআনে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সাঃকে আমাদের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছেন। আললাহ তায়ালা সুরা ইউনুস এর ৫৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহর রহমত প্রাপ্তির জন্য মুমিনদেরকে খুশি এবং ঈদ উৎযাপন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ আরো বলেছেন এই ঈদ উৎযাপন হবে মুমিনদের সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ঠতর।
বক্তরা আরো বলেন, যুগ যুগ ধরে বিশ্বের সকল দেশেই ঈদে মিলাদুননবী পালিত হয়ে আসছে। কিনতু বর্তমান একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী ঈদে মিলাদুননবী সাঃ এর বিরোধাতা করে সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে চলেছে। ফলে মুসলিম সমাজ আজ বহুধা ভাগে বিভক্ত। এক আলেম অন্য আলেমের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। অন্যদিকে ইসলামের শক্ররা বিনা বাধায় তাদের চক্রান্ত সফল ভাবে সম্পন্ন করে চলেছে। বক্তাগণ এই পথভ্রষ্ট উগ্রবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠী থেকে দুরে থাকবার আহ্বান জানান। জিকির আজকার, জোনাজাত এবং নৈশভোজের মাধ্যমে ঈদে মিলাদুননবীর অনুষ্ঠান সমাপতি ঘটে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।