যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ভারতীয় আমেরিকানদের প্রভাব
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ১০:১৭ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার
যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসে বর্তমানে পাঁচজন ভারতীয় আমেরিকান আছেন। আর রাজ্য পর্যায়ে আছেন প্রায় ৪০ জন। এশীয় আমেরিকান গোষ্ঠীর মধ্যে ভারতীয় আমেরিকানদের ভোট দেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। এশীয় আমেরিকানদের রাজনৈতিক আচরণ নিয়ে গবেষণা করা সংস্থা এএপিআই ডাটার কার্তিক রামকৃষ্ণান এসব তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের প্রার্থী হওয়ার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে যে ভারতীয় আমেরিকানরা মার্কিন রাজনীতিতে শক্তিশালী হয়ে উঠছেন।
রামকৃষ্ণান বলেন, ভারতীয় আমেরিকানরা অন্যদের তুলনায় একটু বেশি শিক্ষিত ও সম্পদশালী। তাই তাঁদের মধ্যে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে তহবিল সংগ্রহ ও অন্যান্য সুযোগ পাওয়া সহজ হয়। ভারতীয় আমেরিকানদের কেউ কেউ এখন নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী হচ্ছেন।
‘বন্ধুদের কাছ থেকে এবং নিজেদের সামাজিক নেটওয়ার্ক থেকে রাজনৈতিক অনুদান পাচ্ছেন তাঁরা।’ বলেন রামকৃষ্ণান। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় রাজনীতিবিষয়ক অধ্যাপক ইরফান নুরুদ্দিন বলেন, ভারতীয় আমেরিকানদের অধিকাংশই ডেমোক্রেটিক প্রার্থীকে ভোট দেন বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
তবে রিপাবলিকানদের মধ্যে এমন আলোচনা আছে যে ভারতীয় আমেরিকানরা নীতি নয়, নামের কারণে ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিয়ে থাকেন।
মিশিগানের একজন রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটিওমেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিমা কোলানাজিরেড্ডি বলেন, ‘তাঁরা (ভারতীয় আমেরিকান) ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেন। কারণ ভারতে গণতন্ত্র আছে। তাঁরা ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে ডেমোক্রেসিকে মেলান। তাঁরা মনে করেন, বোধ হয় এটাই সেই পার্টি, যাদের ভোট দেওয়া উচিত।’
বিতর্কে রাজি কমলা, প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের
ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে দ্বিতীয় টেলিভিশন বিতর্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন আয়োজিত বিতর্কের প্রস্তাবটি গত শনিবার প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
যদিও আগামী ২৩ অক্টোবর সিএনএন আয়োজিত বিতর্কের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কমলা। তবে ট্রাম্প বলেছেন, আরেকটি বিতর্কের জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ এরই মধ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। কমলার প্রচারশিবির বলেছে, যেহেতু চলতি মাসের শুরুতে ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত বিতর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে জয়ী দাবি করেছেন, তাই আরেকটি বিতর্কে অংশ নিতে তাঁর কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।
যদিও বিতর্কের পর পরিচালিত জনমত জরিপ বলছে, বেশির ভাগ দর্শকের বিশ্বাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন ট্রাম্প। ওই বিতর্কের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, আর কোনো বিতর্ক হবে না। গত শনিবার নর্থ ক্যারোলাইনার উইলমিংটনে এক সমাবেশে ট্রাম্প দাবি করেন, প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে তিনি জয়ী হয়েছেন। তবে পুনরায় বিতর্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, আরেকটি বিতর্কের জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ এরই মধ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। ট্রাম্প এ-ও দাবি করেন, ‘বিতর্কে খারাপ করায় আরেক দফা বিতর্ক করতে চাইছেন কমলা।’
গত শনিবার এক বিবৃতিতে কমলার প্রচারশিবিরের চেয়ার জেন ও’ম্যালি বলেন, নভেম্বরের নির্বাচনের আগে কমলা ও ট্রাম্পের বিতর্ক দেখার আরেকটি সুযোগ আমেরিকানদের প্রাপ্য। নির্বাচনের আগে মাত্র একটি বিতর্ক আধুনিক ইতিহাসে নজিরবিহীন হয়ে থাকবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে, বিবিসি