বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাম্পের নির্বাচনী ট্রাম্প কার্ড ইমিগ্রেশন

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৫১ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার


 যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের চেষ্টা করা মানুষের সংখ্যা রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে। অভিবাসী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে অপরিহার্য হলেও দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে এ ইস্যু নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশনের নতুন তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের তুলনায় এ বছরের আগস্ট মাসে সীমান্তের নির্দিষ্ট পয়েন্টের বাইরে অভিবাসীদের মুখোমুখি হওয়ার হার ৬৮ শতাংশ কমেছে। কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশনের এক কর্মকর্তা বলেন, এ হ্রাস সীমান্ত পরিস্থিতি আরো নিয়ন্ত্রণযোগ্য করে তুলেছে।
কিন্তু এ অগ্রগতি সত্ত্বেও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং পুনর্নির্বাচিত হলে সেগুলো বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে অনুষ্ঠিত রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে বলেন, ‘আমি এসব খুনি এবং অপরাধীদের আমাদের দেশে ঢুকতে দেবো না। রিপাবলিকান প্ল্যাটফর্ম আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাসন অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে।’
সম্প্রতি প্রকাশিত স্ক্রিপস নিউজ/ইপসোস জরিপ অনুযায়ী, বেশির ভাগ আমেরিকান ব্যাপক ডিপোর্টেশনের পক্ষে। তবে অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল রিফিউজি বলেছে, অতীতের অনুরূপ প্রচেষ্টা ভয়াবহ ছিল। গ্লোবাল রিফিউজির প্রেসিডেন্ট এবং সিইও কৃষ ও’মারা ভিগনারাজা বলেন, ‘আপনি দেখেছেন, মার্কিন নাগরিকদের ভুল করে আটক করা এবং নির্বাসন করা হয়েছে। তাদের পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও নীল কলার বা শ্রমজীবী নিয়োগকারীরা হাজার হাজার কর্মী হারাবে। রক্ষণশীলরা বলছে, এর সমাধান হলো কাজের ভিসার প্রসার ঘটানো।
হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বর্ডার সিকিউরিটি এবং ইমিগ্রেশন সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো সাইমন হ্যানকিনসন বলেন, আমি যা মনে করি তাহলো দেশের সংস্কৃতির জন্য সত্যিই ক্ষতিকর যদি আইন অমান্য করে অভিবাসন চলতে থাকে। অবৈধ অভিবাসন না থাকলে খাবার রান্না হবে না, লন পরিষ্কার হবে না। এটা বলতে গেলে তা আইনের বাইরের কাজ করে যাচ্ছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার মিত্ররা নতুন করে একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে অভিবাসীদের গণনির্বাসন এবং আটক শিবির স্থাপন করার প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেছেন। যদিও বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা এ ধরনের প্রচেষ্টাকে অবাস্তব এবং বিপজ্জনক বলে সতর্ক করেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞ ও সাবেক কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, এ ধরনের পদক্ষেপ বিপজ্জনক এবং অনৈতিক হতে পারে। গণনির্বাসন এবং সামরিক শক্তি ব্যবহার করলে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের আইনি এবং মানবিক নীতিমালার লঙ্ঘন হতে পারে। তবুও ট্রাম্প তার সমর্থকদের মধ্যে অভিবাসন ইস্যুতে কড়া অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হতে চলেছে। গত সপ্তাহে মনমাউথ ইউনিভার্সিটির একটি জরিপে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ভোটার ট্রাম্পের চেয়ে হ্যারিসকে ইমিগ্রেশন ইস্যুতে বেশি বিশ্বাস করে।