সোসাইটির ৩০৭ ভোট বাতিলে চতুরতার অভিযোগ সেলিম-আলী পরিষদের
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৪৩ এএম, ৫ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার
বাংলাদেশ সোসাইটির বির্তকিত ৩০৭ ভোট বাতিল। সংশোধিত নতুন ভোটার তালিকা আসছে। গত ৩০ জুন ছিল বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্যপদ নবায়ন, নতুন সদস্য পদ গ্রহনের শেষ সময়।এ সময়ের মধ্যে যারা সদস্য হয়েছেন তারাই আগামী ২৭ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। যার পরিমান ১৮,৬০০। ভোটার তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের পর ২৮২ জন ভোটার নিয়ে আপত্তি তোলেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি সেলিম-আলী পরিষদ। ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন আরও ৩০৭ ভোটার সংযোজন দেখিয়ে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। এতে তীব্র আপত্তি তোলেন আতাউর রহমান সেলিম ও মোহাম্মদ আলী। তারা লিখিতভাবে বাংলাদেশ সোসাইটি ও নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ৩০৭ ভোট তালিকা থেকে বাদ দেবার দাবি জানায়। এ প্রেক্ষিতে সোসাইটির কার্যকরি কমিটি ও ট্রাস্টি বোর্ড গত বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর যৌথ সভায় মিলিত হয়। সেখানে আলোচনার পর যৌথ কমিটি ৩০৭ ভোট বাতিলের ঘোষণা দেয়।
এ ব্যাপারে সোসাটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী প্রতিবেদককে বলেন, সোসাইটির নির্বাচনী ইতিহাসে একটি কলংকজনক অধ্যায় রচিত হলো। এর আগে ২টি ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। এখন তৃতীয়টি প্রকাশিত হবে। গত ৩০ জুন ভোটার হবার শেষ সীমা পার হয়। এরপর ২৮২ ভোট যোগ করে বর্তমান কার্যকরি কমিটি। এর প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন ও কার্যকরি কমিটিকে চিঠি দেই ২৮ আগষ্ট। তার জবাব পাইনি। ১৮ সেপ্টেম্বর ৩০৭ জন নতুন ভোটার দেখিয়ে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর প্রতিবাদ করে আমরা আবার চিঠি লিখি। এর প্রেক্ষিতেই গত বৃহস্পতিবার যৌথ কমিটি এই ৩০৭ ভোট বাতিল করে। তবে ২৮২ ভোটের বাপারে তারা কোন জবাব দেন নি। মোহাম্মদ আলী প্রতিবেদককে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠূ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা দাবি করছি। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সোসাইটির ভাবমূর্তি রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোনে সেলিম-আলী পরিষদের সভাপতি পদ প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম আজকালকে বলেন, বাতিলকৃত ৩০৭ ভোট নিয়ে প্রেসিডেন্ট রব মিয়া ও রুহুল আমিন চতুরতার আশ্রয় নিয়েছেন। এ ভোটের অধিকাংশই ভোটই সেলিম-আলী প্যানেলের সর্মথক। আমরা দাবি করেছিলাম ৩০ জুনের পর যে ৩০৭ ভোট জমা দেয়া হয়েছিল তা বাতিল করা হোক। সে পথে না গিয়ে চতুরতার মাধ্যমে তারা আমাদের সর্মথিত ভোট বাতিল করেছে। এ ভোটগুলো ৩০ জুন বা তার আগেই বৈধভাবে জমা দেয়া হয়েছিল। বৈধ ভোট বাতিলের এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ৩০৭ ভোটকে অবিলম্বে বৈধ ঘোষণা করা হোক। একই সাথে দাবি জানাচ্ছি, ৩০ জুনের পর অবৈধভাবে ৩০৭ ভোট করা হয়েছে তা বাতিল করে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করুন।
বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়ার দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি বলেন, আপত্তিকৃত ৩০৭ ভোট বাতিল করেছে যৌথ কমিটি। যাদের ভোট বাতিল করা হয়েছে তারা চাঁদা ফেরত দাবি করলে ফেরত দেয়া হবে। নইলে তা সংঠনের তহবিলে জমা থাকবে। আর ২৮২ ভোটের বিষয়টি যৌথ কমিটি সার্বিক বিবেচনায় বাতিল করেন নি। তবে এ কথা র্নিদ্বিধিায় বলতে পারি, তারা সোসাইটির জেনুইন সদস্য ও বাংলাদেশি কমিউনিটিরই মানুষ। তারা প্রকাশিত প্রথম লিস্ট থেকেই ভোটার হিসেবে গণ্য হয়েছেন। সবারই মনে রাখতে হবে এই সংগঠনটি আমাদের। বাংলাদেশী কমিউিনিটি এ সংগঠন নিয়ে গর্বিত। আসুন, সবাই মিলে একটি সুন্দর ও দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করি। নির্বাচিত নতুন নেতৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে সহযোগিতা করুন।
গত বৃহস্পতিবার যৌথ কমিটির সভায় সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি মহিউদ্দীন দেওয়ান ও সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন সহ অধিকাংশ সদস্য উপস্তিত ছিলেন। ট্রাস্টি বোডের সদস্যদেও মধ্যে উপস্তিত ছিলেন াাব্দুল াাজিজ,আখতার হোসেন,আজিজুর রহমান বোরহান,আব্দুল হাসিম হাসনু,মফিজুল ইসলাম,শাহজাহান সিরাজী,খোকন মোশাররফ,কামাল পাশা বাবুল,ওয়াসী চৌধুরী ও জহির মোল্লা।