উডসাইড সেলিম-আলী পরিষদের কর্মীসভা
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:০৯ এএম, ৫ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার
বাংলাদেশি-আমেরিকানদের আমব্রেলা সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র নির্বাচনকে সামনে রেখে নিউইয়র্কের উডসাইড কেন্দ্রের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সোমবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে। কুইন্স কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আবুল খায়ের আজাদ ও সদস্য সচিব জাবেদ আহমদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সেলিম-আলী পরিষদের কুইন্স কমিটির আহবায়ক হাসান মাহমুদ সোহেল।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেলিম-আলী পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আজহারুল হক মিলন এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়কারী আব্দুর রহিম হাওলাদার।
নির্বাচনে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন, নিজামুল হক নিজাম, লুতফুর রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব কাজী তোফায়েল ইসলাম, যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মেদ আখতার হোসেন, মুখরেছুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সৈয়দ এনায়েত আলী, ব্রুকলিন এবং ওজনপার্ক কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়কারী নাইম টুটুল, কেন্দীয় কমিটির সমন্বয়কারী ফারুক মজুমদার, কুইন্স কেন্দ্রের যুগ্ন সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন আমান, সাউথ ওজনপার্ক কমিটির আহবায়ক ইকবাল হোসেন, জাকির হোসেন, আখতার হোসেন ক্যানেডি, কুইন্স কমিটির উপদেষ্টা মোবারক হোসেন,
প্রধান অতিথি আজহারুল হক মিলন তাঁর বক্তব্যে বলেন, আপনারা সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসে থেকে প্রমাণ করলেন যে সেলিম-আলী পরিষদের প্রতি আপনাদের আন্তরিকতা অনেক বেশি। আপনাদের সহযোগীতা ও ভালোবাসা নিয়ে সেলিম-আলী পরিষদকে জয়লাভ করাতে হবে।
আব্দুর রহিম হাওলাদার বলেন, ১৬ টা বছর এই সোসাইটিকে সার্ভিস দিয়েছি, চেষ্টা করেছি সোসাইটির জন্য কিছু করার। করোনার সময় সোসাইটিকে নিয়ে কাজ করেছি। বাংলাদেশের বাহিরে সবচেয়ে বড় সংগঠন। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে বাংলাদেশ সোসাইটি। এটা কোনো আঞ্চলিক সংগঠন নয়। সবকিছুতে সচ্ছতা ছিলো। কিন্তু কিছু মানুষ এমন এমন এক বিতর্কিত জায়গায় সোসাইটিকে নিয়ে গেছেন যার কারণে ভালো মানুষ সোসাইটিতে আসতে চায়না। ভোটের গড়মিল দেয়া যায়। আমি দুইবার সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। সোসাইটির জন্মলগ্ন থেকে ভোটের হিসেব নিকেশে কোনো গড়মিল হয়নি। এখন ভোটের সংখ্যায় গড়মিল দেখা যায়। এরকম ক্রাইসিস আমি জীবনেও দেখিনি।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন জামিল আনসারী।
প্যানেলের ১৯টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিাকারীদের নাম ঘোষণা পরবর্তী মঞ্চে নিয়ে পরিচয় পর্ব করেন আবুল খায়ের আজাদ। প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি পদে আতাউর রহমান সেলিম, সিনিয়র সহ সভাপতি- মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি- কামরুজজামান কামরুল, সাধারণ সম্পাদক- মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- আবুল কালাম ভুইয়া, কোষাধ্যক্ষ- মফিজুর ইসলাম ভুইয়া রুমী, সাংগঠনিক সম্পাদক- ডিউক খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- অনিক রাজ, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক- রিজু মোহাম্মদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক- জামিল আনসারী, সাহিত্য সম্পাদক- মোহাম্মদ এ আখতার বাবুল, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক- আশরাফ আলী খান লিটন, স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- হাসান জিলানী এবং কার্যকরী সদস্য যথাক্রমে মোহাম্মদ সাদিক, আবুল কাশে চৌধুরী, মনসুর আহমেদ, আল হারুন, জাহাঙ্গীর সেহরাওয়ার্দী ও হাসান খান।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ আলী জ্যামাইকায় বসবাসকারী সকল ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করে বাংলাদেশ সোসাইটিকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওযার জন্য সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি বলেন, ভোটার লিস্ট চূড়ান্ত করার পরেও অবৈধভাবে তারা যে ভোটগুলি ভোটার লিস্টে তুলেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আপনাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টিতে দেখতে হবে।
সভাপতি পদপ্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর সাথে সহমত পোষণ করে বলেন, আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এরকম নির্লজ্জের মতো কিভাবে তারা ভোটারদের লিস্ট চূড়ান্ত হওয়ার পরেও তাদের বানানো ভোট যুক্ত করলো ভোটার তালিকায়? কমিউনিটির সকল মানুষকে সোসাইটির স্বার্থে চোখ-কান খোলা রাখার অনুরোধ জানান নেতৃবৃন্দ।