গাজা যুদ্ধের এক বছর: কী বললেন বাইডেন, কমলা ও ট্রাম্প
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:২৮ এএম, ৯ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার
গাজা যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে এ যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দেশটির আগামী নির্বাচনে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকাল সোমবার ছিল গাজা যুদ্ধের এক বছর। গত বছর ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এই হামলা ভয়ংকর এক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়। যে যুদ্ধ এখন মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এ যুদ্ধের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসে সোমবার ইহুদিদের শোক পালন অনুষ্ঠান হয়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন মোমবাতি প্রজ্বালন করেন। অনুষ্ঠানে হামলায় নিহতদের স্মরণে প্রার্থনা করা হয়। মধ্যপ্রাচ্য এখন সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে, তা সত্ত্বেও এদিন অনুষ্ঠানে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা আলাদাভাবে তাঁর ওয়াশিংটনের বাড়িতে স্মারক বৃক্ষরোপণ করেছেন। রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প নিউইয়র্কে ইহুদি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ‘এক বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে অনেক অনেক বেসামরিক মানুষকে অনেক অনেক বেশি ভুগতে হয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ওই ‘অবর্ণনীয় নৃশংসতার’ নিন্দা করেছেন। বলেছেন, তিনি ও কমলা হ্যারিস ইরান এবং তার আঞ্চলিক মিত্র গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে ‘সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
তিনি ৭ অক্টোবরকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কালো দিন’ বলেও বর্ণনা করেন এবং বলেন, তিনি ও কমলা ‘গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে উপনীত হতে কাজ করে যাবেন’।
‘আশা ও ন্যায়পরায়ণতার’ প্রতীক হিসেবে নিজের ওয়াশিংটনের বাড়িতে একটি ডালিমগাছ লাগানোর পর কমলা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্যে) যেকোনো ধরনের স্থিতিশীলতা আনতে’ গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সবচেয়ে ভালো পন্থা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা ছাড়ছি না। জিম্মিদের মুক্ত করতে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করছি।’
এদিকে ফ্লোরিডায় নিজের গলফ ক্লাবে ইহুদি নেতাদের আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প। পরে ক্লাবের সামনে জড়ো হওয়া সমর্থকদের সামনে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো ওই দিনের বিভীষিকা ভুলতে পারব না। যদি আমি প্রেসিডেন্ট থাকতাম তবে ৭ অক্টোবরের হামলার ঘটনা কখনো ঘটত না।’
হামাসের সামরিক সক্ষমতা হ্রাসে ইসরায়েল যে অভিযান পরিচালনা করছে তিনি (ট্রাম্প) তার প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, ‘নতুন, আরও সৌহার্দ্যপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্যের সূচনা শেষ পর্যন্ত আমাদের হাতের নাগালে এসেছে।’