লেবাননে স্থল অভিযান বন্ধে হোয়াইট হাউসকে ইসরায়েলের শর্ত
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:১৯ এএম, ২২ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার
লেবাননে যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক সমাধানের শর্তসহ গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি নথি দিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (২০ অক্টোবর) দুই মার্কিন ও দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এক্সিওস।
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তার বরাতে অ্যাক্সিওস জানায়, হিজবুল্লাহ যেন সীমান্তের কাছে সামরিক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ না করে তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েল আইডিএফকে সক্রিয় হওয়ার অনুমতি দিয়েছে। লেবাননের আকাশসীমায় নিজেদের বিমান বাহিনীর অভিযানের স্বাধীনতাও দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে হিজবুল্লাহকে অর্থায়নের অভিযোগে লেবাননের আর্থিক প্রতিষ্ঠান আল-কারদ আল-হাসানের একাধিক শাখায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া দেশটির আর্থিক খাত লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে দখলদার দেশটি। হিজবুল্লাহর প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক নেটওয়ার্ক হিসেবে এই ব্যাংক কাজ করে থাকে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রও।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বৈরুতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল বাহিনী। বিবিসি জানায়, রাফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ব্যাংকের শাখায় হামলা চালানো হয়েছে। এদিন রাজধানী শহরটির বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে দফায় দফায় আক্রমণ চালানো হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ বৈরুতের দাহিহ জেলা, হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত এলাকা, বেকা উপত্যকা এবং দক্ষিণ লেবাননে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। যদিও, বাসিন্দাদের আগেই এসব এলাকা থেকে সরে যাওয়া নির্দেশ দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া ইসরায়েলের শর্ত লেবানন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মেনে নেবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম বলে অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। তবে এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের ইসরায়েল ও লেবানন দূতাবাস আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য দেয়নি।
সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে বৈরুত সফর করছেন হোয়াইট হাউসের বিশেষ দূত আমোস হোচস্টেইন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। প্রায় ১০ দিনের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার। এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়েছে।
বিমান অভিযান পর্বের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করেছে আইডিএফের স্থল বাহিনী। এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইডিএফ বলেছিল, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে সীমিত ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযান চালানো হবে। তবে কতদিন এ অভিযান চলবে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য বা ইঙ্গিত এখনও দেয়নি আইডিএফ।
ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ইতোমধ্যে লেবাননে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।