ভোটার তালিকায় আপত্তি সোলিম-আলী পরিষদের
আজকাল রিপোর্ট -
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:৫৩ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার
নির্বাচনের দুই দিন আগে ভোটার তালিকা নিয়ে জোর আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা সেলিম-আলী পরিষদ। নির্দিষ্ট তারিখ অতিক্রান্ত হওয়ার পর তালিকায় ৫৯২ ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্তি এবং সদস্যফি দেয়া বৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ করছে প্যানেলটি। ২৪ অক্টোবর জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শাহ্ নেওয়াজ, সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম, সহ-সভাপতি প্রার্থী মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. আলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনি লিখিত বক্ত্যবে বলা হয়- ভোটার হওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ জুন। সোসাইটির গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৩১শে জুলাই খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা। কিন্তু কার্যকরী পরিষদ গঠনন্ত্র লঙ্ঘন করে গত ১৭ আগষ্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করেছে। এতে সোসাইটির ১৮ হাজার ৩৩০ সদ্যস্যের ভোটার তালিকায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৫৯২জন ভোটারের নাম নতুন যোগ করা হয়েছে। পরে, সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তে ৩০ জুনের পর যাদের ভোটার করা হয়েছে, তা বাতিল হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু কার্যকরী পরিষদের দায়িত্বশীলরা তা না করে বরং 'সেলিম-আলী' প্যানেল সমর্থিত সংরক্ষিত ভোটারদের বাদ দিয়েছে। প্রতিপক্ষের একজন প্রার্থীকে জয়ী করতে সোসাইটির কর্মকর্তারা এমন অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। কুকৌশলে ২৫ বান্ডিল রিসিট থেকে ৩০ জুনে জমা দেয়া বৈধ ভোটারদের বাদ দিয়ে অবৈধ ৫৮৯ টি ভোট ভোটার তালিকায় যোগ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে সোসাইটির সভাপতি ও ট্রাষ্টিবোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও অভিযোগ আমলে নেয়া হচ্ছে না। বিষয়টি সুরাহায় কার্যকরী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, তাও কার্যকর হচ্ছে না। যা গঠনতন্ত্রের চরম লঙ্ঘন। সোসাইটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ তাদের ক্ষমতা বলে 'সেলিম-আলী' প্যানেলের সমর্থক ভোটগুলো বাতিল করেছেন।
এ সময় বলা হয়, বাংলাদেশ সোসাইটির ৫০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম তৃতীয় ভোটার লিস্ট নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যা ভোটারদের মনে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তবে আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ এই অনিয়মের জবাব দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এবং আগামী নির্বাচনে 'সেলিম-আলী' প্যানেলে বিজয়ের সম্ভাবনা দেখে জ্যামাইকা ও ব্রুকলীন সহ অন্যান্য এলাকায় বারবার আমাদের পোস্টার ব্যানার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা প্রতিহিংসা নয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা চাই, স ধ্য সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রেখে বাংলাদেশ সোসাইটিকে এগিয়ে নিতে চাই।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শাহ নেওয়াজ বলেন, নানা অভিযোগ থাকার পরও আমরা একটি সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। কিন্তু অবৈধ ভাবে যেসব ভোট বাদ পড়েছে, তারাতো ফি দিয়েছে, সোসাইটি থেকে রিসিটও দিয়েছে। ভোটারাতো বলবে আমি ফি দিয়ে ভোট দিতে পারিনি। তাই আমরা এ অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদসম্মেলন করছি। তারপরও আমরা নির্বাচনে আছি।
আতাউর রহমান সেলিম বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগযোগ করেছি। তারা বলেছে, যদি ভোটের আগে বাদ পড়া বৈধ ভোটারদের তালিকা সোসাইটি থেকে তাদের দেয়া হয়, তাহলে তারা বিশেষ ভাবে সেগুলোর তালিকাভুক্ত করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। সোসাইটির কার্যকরি কমিটিও সংখ্যাগরিষ্ট মতে তালিকায় বাদ পড়াদের অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দেয় কিন্তু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ তাও মানছেন না।
মো. আলী বলেন, আমাদের আপত্তি ছিল তালিকায় অবৈধ ভোটার নিয়ে। আমরা দফায়, দফায় লিখিত ভাবে বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও সোসইটির কার্যকরি কমিটিকে জানিয়েছে। কিন্তু তারা সে বিষয়ের সুরাহা না করে উল্টো আমাদের রিসিট থাকা বৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
মহিউদ্দিন দেওয়ান বলেন, আমরা নির্বাচন চাই তাই কোন মামলা চাই না। কিন্তু কোন ভোটার যদি ভোট দিতে গিয়ে দেখে তার নাম তালিকায় নেই, তখন যদি তিনি মামলা করে বা কোন পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা তাতে কিছু করতে পারি না।