শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঝুলে রইলো চট্রগ্রাম সমিতির নির্বাচনী ফলাফল

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:১৮ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার

 

যুক্তরাষ্ট্রস্থ চট্রগ্রাম সমিতির নির্বাচনে নির্বাচনে সভাপতি পদে মাকসুদুল হক চৌধুরী ২ ভোটের ব্যবধানে আবু তাহেরের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ৬টি ভোট নিয়ে আপত্তি থাকায় নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা করেনি। এমতাবস্থায় ঝুলে থাকলো নির্বাচনী ফলাফল। নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র সাহাবুদ্দিন সাগর আজকালকে বলেছেন, ৬টি চ্যালেঞ্জ ভোট প্রশ্নে কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। ২ বা ৩ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বসবে। দুটি প্যানেল থেকেই ২টি অভিযোগ বা আপত্তি আমাদেও কাছে পেশ করা হয়েছে। আমরা তা খতিয়ে দেখছি। শীগ্রই নির্বাচন কমিশন তার সিদ্ধান্ত চট্রগ্রামবাসীকে জানাবে।  তাহের-আরিফ প্যানেলের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী আরিফুল ইসলাম ২৫ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। তার বিজয় নিশ্চিত। ৬ জন ভোটার ভোটদানকালে তাদের মূল পরিচয় পত্র দেখাতে পারেনি। তারা পরিচয় পত্রের ফটোকপি বা সেলফোনে রাখা পরিচয় পত্রের ছবি দেখিয়ে ভোট প্রদান করেন। কিন্তু তাদের ভোট গনণায় দেখানো হয়নি। মূল আইডি কার্ড দেখানো সাপেক্ষে তাদের ভোট গনণায় অর্ন্তভূক্ত করা হবে। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণায় অপারগতা প্রকাশ করে। তাহের- আরিফ প্যানেলের কর্মকর্তারা বলেছেন, গনণার বাইরে রাখা ৬টি ভোটই তাদের। এ ভোটগুলো যোগ করলে আবু তাহের নিশ্চিত বিজয়ী। ভোটাররা তাদের মূল আইডি আনবেন এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করবেন। সভাপতি তাহেরকে জিততে হলে এই ৬ ভোটের ৫টিই পেতে হবে। ৪ ভোট পেলে উভয় সভাপতি প্রার্থীর ভোট হবে সমানে সমান। সে ক্ষেত্রে উদ্ভব হবে আরেক জটিলতার। আর ৬ ভোটের ঊভয় প্রার্থী ৩-৩ করে পেলে মাকসুদের বিজয় সুনিশিচত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন ৬টি চ্যালেঞ্জ ভোট আমলে নিবেন কিনা। নাকি এই ৬ ভোট ছাড়াই তারা আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করবেন। এমনি এক টানাপোড়নের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বৈঠকে বসবে। এই ৬টি ভোটের কারনে অন্যান্য পদে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদেরও বিজয় হাতছাড়া হতে পারে।
রোববার ২০ অক্টোবর ব্রুকলিন, জামাইকা, স্টাম্পফোর্ড (কানেকটিকাট) ও ফিলাডেলফিয়ার কেন্দ্রে ভোট অনষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ২ হাজার চট্রগ্রামবাসী ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ১৯টি পদের বিপরীতে সাধারন সম্পাদক আরিফ সহ ৬টি পদে তাহের-আরিফ প্যানেল এগিয়ে। সিনিয়র সহসভাপতি বিল্লাল সহ ১৩টি পদে এগিয়ে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের প্রার্থীরা। মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের এগিয়ে থাকা কিংবা বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন মুক্তাদির বিল্লাহ,আলী আকবর,আইয়ুব আনসারী,কলিম উল্লাহ,হারুন ভূইয়া,সুমন ঊদ্দীন, মোহাম্মদ ফরহাদ,শিমুল বরুয়া, আকতারুল আজিম, নুরুস সাফা, শাহ আলম ও শওকত আলী।

তাহের- আরিফ পরিষদের বিজয়ীরা হলেন আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ টি আলম,নুরুল আমিন,ইমরুল কায়সার,এনামুল হক চৌধুরী,জাবের শফি ও মোহাম্মদ ঈশা।
মোট ৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেল স্ট্যাম্পফোর্ডে ৫০, জামাইকায় ৩০ ও ব্রুকলিনে ২৭ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছে। তাহের-আরিফ প্যানেল ফিলাডেলফিয়া কেন্দ্রে ১২০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে।