নির্বাচনের আগে সমাপনী বক্তব্যে যা বললেন ট্রাম্প-কমলা
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৬:৩৬ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার
নির্বাচন হতে মাত্র এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না, কে হতে পারেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ের মালা ছিনিয়ে আনতে জোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভোটারদের উদ্দেশে তাদের সমাপনী বক্তব্য দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
কমলা হ্যারিস তার বক্তব্য এমন স্থানে দিয়েছেন, যেখানে প্রায় চার বছর আগে ‘ক্যাপিটল দাঙ্গা’র ঠিক আগে আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পও বক্তব্য রেখেছিলেন।
কমলা হ্যারিস ভোটারদেরকে নির্বাচনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘এই নির্বাচন সম্ভবত আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট এবং এটির মানে স্বাধীনতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্য থেকে একটিকে বেছে নেয়া। এর মাধ্যমে মার্কিন ভোটাররা সবচেয়ে অসাধারণ কাহিনীর পরবর্তী অধ্যায়টি লিখতে পারেন।’
তিনি তার এই সমাপনী বক্তব্যে আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করতেও ভুলেননি।
তিনি বলেন, ‘প্রায় চার বছর আগে এই স্থানে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাঁড়িয়েছিলেন এবং জনগণের ইচ্ছাকে দমন করার জন্য সশস্ত্র জনতাকে পাঠিয়েছিলেন।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও মূল্যস্ফীতি এখন বড় একটি সমস্যা। এ বিষয়ক তার বক্তব্য হলো, ‘এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো খরচ কমানো, যা মহামারীর আগেও বাড়ছিল এবং এখনো অনেক বেশি।’
জীবনের ব্যয় সঙ্কট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি।’
তিনি তার এই সমাপনী বক্তব্য গর্ভপাতের অধিকার রক্ষারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের নিজের শরীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার মৌলিক স্বাধীনতা রাখে।’
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে সমাপনী বক্তব্য দেন। ট্রাম্প তার ভাষণ শুরু করেন একটি সহজ প্রশ্ন দিয়ে। ভোটারদেরকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘চার বছর আগের তুলনায় আপনি কি এখন ভালো অবস্থায় আছেন?’
এরপর একে একে তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো পুনরাবৃত্তি করেন। সেগুলোর মাঝে রয়েছে মূল্যস্ফীতি কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
তিনিও কমলা হ্যারিসের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘কমলা আমাদের লজ্জিত করেছে। তার মাঝে নেতৃত্বের যোগ্যতা নেই।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প জনগণকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নির্বাচনে ‘কারচুপি’ করবে, ইতোমধ্যে তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।