শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভাইয়ের জন্য ভোট চাইলেন শামীম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক 

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:০২ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে এখন তার বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের বর্তমান এমপি ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মহাজোটের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের আসনে জনসভায় লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন।

এদিকে শামীম ওসমানের আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। অন্যদিকে সেলিম ওসমানের আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এসএম আকরাম।

সেলিম ওসমানের আসনের বন্দরের এক জনসভায় শামীম ওসমান বলেছেন, ‘এ আসনে নাকি নাগরিক ঐক্যফ্রন্টের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছেন এসএম আকরাম। গিরগিটির মত এত রঙ বদলান তিনি ভাবাই যায় না। আবার মার্কা লাগিয়েছেন ধানের শীষ। বিগত সময়ে এ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রেক্ষাপট এক রকম আর এখন আরেক রকম। তখন মহাজোট প্রার্থীর বিপরীতে আকরাম সাহেব স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তাই আওয়ামী লীগের ভোট পেয়েছিলেন। এখন আওয়ামী লীগের লোকজন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই মহাজোট প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করা সৈনিকরা কখনো আকরামকে ভোট দেবে না।’

শুক্রবার বিকালে বন্দরের সমরক্ষেত্রে সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এ মাটিতেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। আর আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কোথায় এটা সবারই জানা। অতএব, আকরাম সাহেবদের একা জন্ম হয়নি এ মাটিতে। বিএনপি নেতাকর্মীরা আজ তাকে নিয়ে মাতামাতি করছে, অথচ নির্বাচনের পরের দিন আকরামকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না। তিনি চলে যাবেন উত্তরা ক্লাবে। ওখানে বসে তিনি মদ্যপানে ব্যস্ত থাকবেন। তাই বলছি, খোঁচা দেবেন না। খোঁচা দিলে নারায়ণগঞ্জে টিকে থাকতে পারবেন না।’

পরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোট প্রার্থী সেলিম ওসমানও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি গোপীনাথ দাস ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি চন্দন শীল প্রমুখ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জিএম আরাফাত, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাবিব আল মুজাহিদ পলু, জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান ও বন্দর ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ প্রমুখ।