মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২০ ১৪৩১   ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুসলিম ভোটারদের মনোভাব পাল্টাতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:৫৯ এএম, ৩ নভেম্বর ২০২৪ রোববার

 মিশিগানের ডিয়ারবর্নে মুসলিম ও আরব আমেরিকানদের সমর্থন পেতে প্রচারণায় গিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার আগমনের খবর শুনে শহরের বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ শুক্রবার বিকেলে খালি হয়ে যায়, যা স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। রেস্টুরেন্ট ‘দ্য গ্রেট কমনার’-এর জেনারেল ম্যানেজার জেইনা শাহাবান জানান, হালাল রেস্টুরেন্টগুলো শুক্রবার বিকেলে সাধারণত ভরে থাকে, কিন্তু ট্রাম্পের আগমনের কারণে অনেক অতিথি তাদের রিজার্ভেশন বাতিল করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক সিদ্ধান্তগুলোর স্মরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে স্থানীয় আরব-মুসলিম কমিউনিটি। ট্রাম্প ২০১৭ সালে বেশ কিছু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, যা স্থানীয় মুসলিম ভোটারদের মনে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। যদিও আদালতের হস্তক্ষেপে সেই নিষেধাজ্ঞা ২০১৮ সালে স্থগিত করা হয়, তবে এটি এখনও কমিউনিটির জন্য একটি স্পর্শকাতর বিষয়।
ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন দৃঢ় সমর্থক, যা মধ্যপ্রাচ্য এবং ফিলিস্তিনের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আরব-মুসলিম ভোটারদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। সেইসঙ্গে ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনকে গাজা, লেবানন এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের জন্য দায়ী করেছেন।

তবে এই প্রেক্ষাপটে মুসলিমদের মনোভাব জানতে আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন কাউন্সিলের একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যায়, কমলা হ্যারিসের প্রতি ৪১ শতাংশ মুসলিম ভোটারের সমর্থন রয়েছে এবং গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনকে সমর্থন করছেন ৪২ শতাংশ মুসলিম ভোটার। ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন মাত্র ১০ শতাংশে সীমাবদ্ধ।

আলবার্ট আব্বাস বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ট্রাম্প এখন যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে মুসলিমরা তার পক্ষে যাবেন। এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ট্রাম্পই শুধু আরব আমেরিকান এবং মুসলিম আমেরিকানদের গাজা যুদ্ধ বন্ধ এবং লেবানন ও ফিলিস্তিনে শাস্তি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটা অনেক বড় একটি বার্তা।

আব্বাস বলেন, মিশিগানের ডিয়ারবর্নের অধিকাংশ মুসলিম আমেরিকান এবং আরব আমেরিকানরা ট্রাম্পকেই সমর্থন জানাবেন।