শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন

আজকাল রিপোর্ট -

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৮:০০ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার


 

  •      সমিতির ভবন আমাদের দখলে-মাকসুদ
  •      ভবন অর্ন্তবর্তীকালীন কমিটির তত্ত্বাবধানে-আরিফ

 

চট্রগ্রাম সমিতির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ অনুষ্ঠিত গত শুক্রবার ৩ নভেম্বর। নবনির্বাচিত ১৯ সদস্যেও কমিটির মধ্যে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ ৯ জন কর্মকর্তা শপথ গ্রহন করেন। শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ খালেদ। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি মাকসুদ-মাসুদ পরিষদ থেকে নির্বাচিত ১০জন শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। এই শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে উভয় প্যানেলের নেতৃবৃন্দ পাল্টাপালিট বক্তব্য প্রদান করছেন। নব নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, শপথ অনুষ্ঠানে প্রায় ২ শত’র বেশি চট্রগ্রামবাসী উপস্তিত ছিলেন। বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের নিয়ম অনুসাওে ৫৫ জনের বেশি লোক নিয়ে চট্রগ্রাম ভবনের ভেতওে কোন অনুষ্ঠান করা যায় না। এমতাবস্থায় অর্ন্তবর্তীকালীন কমিটির পরামর্শে নির্বাচন কমিশন অফিসের বাইরে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। কিন্তু নির্বাচনে বিজিত পরিষদের সভাপতি প্রার্থী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, চট্রগ্রাম সমিতির নির্বাচন, ফলাফল ঘোষনা, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শপথ পড়ানোর ঘটনা নিয়ে ক্রমশই পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। নির্বাচনের দিন মিডিয়া এবং উভয় প্যানেলের প্রতিনিধিদের সামনে ঘোষনা করা ফলাফল ৫ দিন পর পরিবর্তনের কারনে সৃষ্ট জটিলতা চট্রগাম সমিতিকে পুনরায় দ্বিধাবিভক্ত করে তুলেছে! দীর্ঘদিনের বিভক্তির অবসান ঘটিয়ে ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর সকলের সম্মতিতে সাধারন সভার মাধ্যমে একটি অন্তবর্তীকালীন কমিটি দীর্ঘ ১৮ মাসের অধিক ধরে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করেও নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে পুনরায় বিভক্ত হতে যাচ্ছে প্রবাসের এই বৃহৎ সংগঠনটি।
নির্বাচনের দিন ঘোষিত ফলাফল পরিবর্তন করে ২৫ তারিখ রাতে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন ফলাফল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন।  আর এই ফলাফল ঘোষনা শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে আসছে মাকসুদ - মাসুদ পরিষদ! গত রোববার ৩ নভেম্বর দুপুর ২ টায় সংগঠনের কার্যালয়ে শপথ পরানোর কথা থাকলেও মাকসুদ- মাসুদ পরিষদ আগে থেকেই সংগঠনের কার্যালয় দখলে নিয়ে নেয়!  নির্বাচন কমিশন সিকিউরিটি ভাড়া করে। তাহের আরিফ পরিষদের বেশ কিছু সমর্থকসহ সাবেক  কয়েকজন কর্মকর্তা- সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ হানিফ, মনির আহমদ, কাজী আজম ভবনে প্রবেশ করতে পারেনি! ফলে কোন বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশন তাহের আরিফ পরিষদের কয়েকজনকে ফুটপাতে তাদের ভাড়া করা সিকিউরিটি এবং পুলিশের পাহারায় শপথ পাঠ করান !
এদিকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও মুখপত্র শাহাবুদ্দিন সাগর প্রতিবেদককে বলেন, অফিসের ভেতর স্থান সংকুলান না হবার কারনে সমিতির অফিসের বাইরে শাপথ বাক্য পাঠ করানো হয়েছে।তা করা হয়েছে অর্ন্তবর্তীকালীন কমিটির সাথে আলোচনা করেই। সেখানে দখলের কোন বিষয় ছিল না।  একই কথা বলেছেন, নব নির্বাচিত কমিটির সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। তিনি আজকালকে বলেন, অফিস এখনও অর্ন্তবর্তীকালীন কমিটির তত্ত্বাবধানে। তারা সহাসাই নব নির্বাচিত কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অফিসের দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। ভবন দখলের দাবি নিয়ে পত্রিকায় খবর পাঠানো হাস্যকর। সমিতি চলবে গঠনতন্ত্র অনুসারে। কারও ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার বিষয় নয়।
চট্টগ্রাম সমিতির নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলামের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  ৩ নভেম্বর দুপুর দুইটায় বিপুল সংখ্যক চট্টগ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রাম ভবনের অভ্যন্তরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সকলের অনুরোধে ভবনের সামনে এই শপথ অনুষ্ঠিত হয়। নব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ পথ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনের ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ খালেদ। তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ সেলিম হারুন, সাহাবুদ্দিন সাগর, মোহাম্মদ রুহুল আমিন হোসেন এবং ইঞ্জিনিয়ার হান্নান চৌধুরী। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহিম , সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ , সাবেক সভাপতি কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী মুনির আহমেদ , এনাম চৌধুরী , সাবেক সহ সভাপতি তারিকুল হায়দার চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম , সিপিএ শ্রাবনী , সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনের আবু তালেব চৌধুরী চান্দু , মিজানুর রহমান জাহাঙ্গীর , মেজবাহউদ্দিন আহমেদ, মতিউর চৌধুরী , আশ্রাব আলী লিটন , জামাল আহমেদ , মোহাম্মদ ফোরকান , শাহাবুদ্দিন চৌধুরী লিটন, মোহাম্মদ শওকত, এডভোকেট আব্দুল হামিদ, মামুন ( নিউ জার্সি), আবুল কালাম ( কানেক্টিকাট), নাজিম উদ্দিন ( কানেক্টিকাট) সাবেক কোষাধ্যক্ষ দিদারুল আলম,বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মোঃ মুজিবুর রহমান,শওকত হোসেন, সাবেক কার্যকরী সদস্য হাসান ,সাতকানিয়া কেরানিহাট শহর কমিটির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ ,সেলিম উদ্দীন,মিরসরাই সমিতির সভাপতি মেসবাহ উদ্দীন, কাউসার চৌধুরী, সীতাকুন্ডু সমিতির সভাপতি ফারুক আহমদ, নওশাদ হোসেন,মোহাম্মদ নুর, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ মিয়া, সাহাবউদ্দিন, ফরিদ আহমদ, সালাউদ্দিন , জাবেদ হোসেন,তকির আহমেদ ও মোঃ সেলিম। শপথ অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য রাখেন "তাহের- আরিফ" পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কামাল হোসেন মিঠু।