শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মধ্যরাতেও রাস্তা আটকে আন্দোলনে নিটোরে চিকিৎসাধীন আহতরা

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৩:৩১ এএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের (পঙ্গু) সামনে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করছেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা। চিকিৎসা ও সহায়তার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। এ সময় নিজেদের দুর্দশার কথাও তুলে ধরেছেন তারা। তারা জানান, আন্দোলনে আহতদের সহায়তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে অর্থ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল, এখনো তাদের কাছে দেওয়া হয়নি। এতে তাদের অনেককেই এখনো মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

আন্দোলনকাীরা জানান, সমন্বয়করা আসবেন বলে আশা দিলেও এখনো আসেনি। তারা আসা না রাস্তা ছেড়ে যাবো না। তারা তাদের দাবি ঠিক করেছে। সমন্বয়করা আসলেই সেই দাবি উপস্থাপন করবেন তারা। সমন্বয়করা আসা ছাড়া তারা হাসপাতালেও ফিরে যাবেন না বলে জানান তারা।

এর আগে বুধবার রাত ১০টার মধ্যে স্বাস্থ্য, তথ্য, যুব ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টাকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনে যাওয়ার পর থেকেই এই আন্দোলন শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সবার সঙ্গে দেখা করেননি এমন অভিযোগে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় পথ আটকে বিক্ষোভ করেন আহত ব্যক্তিরা।

বিক্ষোভের কারণে নিজের গাড়িতে উঠতে পারেননি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। নিজের গাড়ি রেখে অন্য একটি গাড়িতে চড়ে হাসপাতাল থেকে চলে আসেন তিনি। তারপর রাস্তায় নেমে আসেন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিরা। পরে পাশের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন চোখে আঘাত পাওয়া ব্যক্তিরা সেখানে এসে আন্দোলনে যোগ দেন।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আহত মো. মাসুম বলেন,  আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে তিনি উপদেষ্টা হয়েছেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হাসপাতালের চতুর্থ তলায় গেলেও তাদের দেখতে তৃতীয় তলায় যাননি। উপদেষ্টা তিন মাস পর হাসপাতালে এসেছেন; কিন্তু আহত ব্যক্তিদের উপেক্ষা করেছেন। তিনি আরও বলেন, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আহত ব্যক্তিদের এক লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো বেশির ভাগই তা হাতে পাননি।