সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্য কোনো দেশে আশ্রয় না পেলে কী করতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা?

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ রোববার

ইন্ডিয়া ডট কম : শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগের পর থেকে ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন। তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। কয়েকটি দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশগুলো। তাই এখন প্রশ্ন উঠেছে, কী করতে যাচ্ছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ইন্ডিয়া ডট কম এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতের দিল্লিতে রয়েছেন। তবে তিনি অন্য কোনো দেশে আশ্রয় নাও পেতে পারেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা চলতি বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের দিল্লিতে বসবাস করছেন। ভারতে আশ্রয় নেওয়ার তিন মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে। তিনি যখন ভারতে আসেন, তখন বলা হয়েছিল, এটি তার অস্থায়ী অবস্থান হবে কিন্তু তা হয়নি। তিনি অনেক দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হতে পারেননি। তাই ভারতে থাকতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবিতে আওয়াজ উঠেছে।

শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণ-সহিংসতা এবং ছাত্র আন্দোলনকে দমন করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। তখন শত শত মানুষ নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত তার সরকার। তবে এটা সত্য যে শেখ হাসিনার জন্য এখন ভারতে বসবাস করা কঠিন হবে।

শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের প্রাথম দিকের আলোচনা ও সংবাদ প্রতিবেদনগুলো দেখলে দেখা যায়, আগস্ট মাসে তিনি বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সম্ভবত এই অনুরোধগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।

তবে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেননি। যাইহোক, যদি সে তা না করে থাকে, তাহলে এটি তাদের ভবিষ্যত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থা

শেখ হাসিনা কোন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন কি না তা জানা যায়নি, তবে এটি প্রশ্ন উত্থাপন করে যেকোন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া তার পক্ষে কঠিন হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে এবং ইন্টারপোলকে তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করতে বললে শেখ হাসিনার কষ্ট আরও বাড়বে। আর এমন দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে সরকার।