এভাবেও জামদানি উপস্থাপন করা যায়!
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার
জয়া আহসান প্রতিনিয়তই নিজেকে ভাঙছেন আর নতুন করে গড়ছেন। তার অভিনয়ে মুগ্ধ দুই বাংলার অগণিত ভক্ত-অনুরাগীরা। বয়সকে কোনো দিনই তোয়াক্কা করেননি জয়া। দর্শক-ভক্তদের মতে, তিনি এখনো সজীব-প্রাণবন্ত।
সম্প্রতি তিনি ফেসবুকে তার নিজের কিছু ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘আমি যেই সংস্কৃতি থেকে এসেছি আমি আমার স্টাইলে তা উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। একজন শিল্পী হিসেবে এটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশী ঢাকাই জামদামি আমার কাছে প্রধান জিনিস, এবং এইবার আমি জামদানী শাড়ি কিভাবে উপস্থাপন করা হয় তার প্যাটার্নটি ভাঙতে চেয়েছিলাম। এবং এটি করার জন্য ফিল্মফেয়ারের থেকে ভালো কোন জায়গা আছে বলে আমার মনে হয়নি। এটি এমন একটি গায়গা যেখানে সারা বিশ্বের শিল্পীদের সাথে দেখা করার সূযোগ পাওয়া যায়, আবারও ধন্যবাদ ফিল্মফেয়ারকে।
তিনি বলেন, জামদানি ফার্সি শব্দ “জাম” ( অর্থাৎ ফুলের ) থেকে এসেছে এবং ‘দানি’ হল ঢাকাই মসলিনের অলংকারি ফুলের নিদর্শনগুলোর নামানুসারে নামকরণ করা একটি দানি বা পাত্র। এই শাড়িটি শেষ করতে প্রায় ছয় মাস সময় লেকেছিল এবং এটি সুন্দরভাবে কারুকাজ করা হয়েছিল। পাশাপাশি আরও শক্তি এবং আবাবিশ্বাস দেখানোর জন্য একটি সমসাময়িক উপায়ে স্টাইল করা হয়েছে। পুরানো যোদ্ধা রাণীর পেইন্টিং দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল নতুন কল্পনা করা শিল্পকর্ম’।
এক ভক্ত এ পোস্টের কমেন্টে লিখেছেন, ‘আপু ভালোবাসা অবিরাম। আপনি এগিয়ে যান। আমরা সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমার ভালোবাসা রইলো’।
জয়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ব্যাচেলর চলচ্চিত্রের মাধ্যামে। পরে দীর্ঘ ৬ বছর পর নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ডুবসাঁতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।